অভিযোগকারী মেয়ে। মঙ্গলবার বোলপুরে। —নিজস্ব চিত্র
বাবা তাঁকে বিক্রির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ তুললেন এক তরুণী।
নিরাপদ আশ্রয় ও বাবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চেয়ে স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ওই তরুণী মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার সকালে বোলপুরের ঘটনা। প্রশাসন তাঁকে একটি হোমে পাঠিয়েছে। মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।”
এ দিন ওই তরুণী তাঁর অভিযোগে দাবি করে, তাঁর অজ্ঞাতসারে তাঁকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছেন তাঁর বাবা। অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ তাঁকে বিক্রির উদ্দেশ্যে এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে অণ্ডাল পাঠানো হয়েছিল। কোনওরকমে তিনি অণ্ডাল থেকে পালিয়ে এসেছেন। এখন বাড়িতে থাকলেও আতঙ্কে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সেই আতঙ্কের জেরেই এ দিন সকালে ‘কলেজ যাব’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন ওই তরুণী। দুপুর পর্যন্ত ঘরে না ফেরায় তাঁর পরিবার কলেজে খোঁজ করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, ওই ছাত্রী এ দিন ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল।
ওই তরুণীর বাবা জানান, দুপুরে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় চিন্তা হয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে পেরে, আশেপাশের এলাকায় খোঁজ শুরু হয়। বোলপুরের নেতাজী বাজার থেকে মেয়েকে মহকুমাশাসকের কাছে নিয়ে যাই। মেয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দিয়েছে। ওর কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন।
এ দিন বোলপুরের মহকুমাশাসক, ডিসিপিও জেলা শিশু কল্যাণ আধিকারিক পরামর্শে জেলা চাইল্ড লাইন ওই তরুণীকে হোমে পাঠিয়েছেন। চাইল্ড লাইনের জেলা কো-অডিনেটর দেবাশিস ঘোষ, জেলা কাউন্সিলর মাধব রঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “ওই ছাত্রীকে হোমে রাখা হয়েছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ‘‘ওই ছাত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। একইসঙ্গে যাচাই করে হচ্ছে অভিযোগের সত্যতাও।’’
বিচারকের ক্ষোভ। আইন না বুঝে মামলা রুজু করায় তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করলেন বর্ধমান আদালতের সিজেএম সঞ্জয়রঞ্জন পাল। জামিন মঞ্জুর করা হয় অভিযুক্তদেরও। গলসি থানার পুলিশ জানায়, আটপাড়া গ্রামের এক তরুণী অভিযোগ করেন, বছর খানেক ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে শেখ নাজমুল ওরফে টোটন নামে এক যুবক। আরও অভিযোগ, রবিবার বিকেলে ওই তরুণীকে জাগুলিপাড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে ফের সহবাস করে নাজমুল। পরে নাজমুলের এক বন্ধু ওই তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অভিযোগ, তখনই নাজমুল ওই তরুণীকে দিয়ে জানিয়ে দেয়, সে বিবাহিত। এরপরেই গ্রামের লোকজন নাজমুল ও তার বন্ধুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy