ছবিটা পাল্টাবে কবে? রামপুরহাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড।—নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় নিকাশি নালা একটিই। অথচ দীর্ঘ দিন ধরে সেই একমাত্র নালাটিই সংস্কার করে উঠতে পারেনি পুরসভা। তার জেরে নালায় জমে থাকা আবর্জনাময় জলে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে ওই নালা অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য পুরসভায় স্মারকলিপি দিলেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সিনেমাতলার বিপরীতে রামপুরহাট কলেজ যাওয়ার জন্য যে রাস্তা সেই রাস্তার পাশেই ওই নিকাশি নালাটি রয়েছে। ওই নালার বেহাল দশা ঠিক করার দাবিতে এলাকাবাসী বুধবারই রামপুরহাট পুরসভায় একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দা শ্রীকৃষ্ণ সরকার, সৈয়দ হিমেল ইব্রাহিম, বিপ্লবকুমার লোদদের অভিযোগ, “রামপুরহাট হাইস্কুলের মাঠ সংলগ্ন এই নিকাশি নালা দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার করা হয় না। তার জন্য মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণের বাসিন্দারা চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।” তাঁদের দাবি, এক দিকে, নিকাশি নালার জমে থাকা জল ওয়ার্ডবাসীর বাড়ির দেওয়ালকে ক্ষতি করছে। অন্য দিকে, নালায় জমে থাকা জঞ্জাল, নোংরা আবর্জনায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জমা জলে মশার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি রামপুরহাট হাইস্কুলের খেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার জন্য ওই নিকাশি নালা সংস্কার আরও কঠিন হয়ে পড়েছে বলেও বাসিন্দাদের দাবি। হিমেল বলেন, “অপরিকল্পিত ভাবে মাঠের প্রাচীর নির্মাণের জন্য নিকাশি নালা থেকে জল বের হতে বাধা পাচ্ছে। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের জন্য পুরসভার পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।”
বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর, তৃণমূলের নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা ঠিকই ওই নিকাশি নালাটির শীঘ্রই সংস্কার করা দরকার। এ ছাড়াও ওই এলাকায় জল নিষ্কাষণের জন্য ছোটখাটো নালা তৈরিরও প্রয়োজন আছে।” আগামী দিনে এই সমস্যা দূর করার জন্য নির্মলবাবু এলাকাবাসীর পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অন্য দিকে, বিদায়ী তৃণমূল পুরপ্রধান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, “নির্বাচন বিধি জারি হয়ে গিয়েছে। তাই এখন নতুন করে কিছু করা যাবে না। তবে, ওই নিকাশি নালার ময়লা তুলে ফেলার জন্য শ্রমিক লাগানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy