তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপন্ন ছাইয়ের পুনর্ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। শুক্রবার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইপুকুর পরিদর্শনে এসে তিনি জানিয়েছেন, ১৪ মার্চের মধ্যেই তিনি এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করবেন।
দিনতিনেক আগে পানুরিয়ায় বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইপুকুর থেকে হু হু করে ছাই উড়ে এসে পড়ে কয়কেটি গ্রামে। বিপর্যস্ত হয় সেখানকার জনজীবন। প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। ছাই সরানোর কাজ থামিয়ে, জল দিয়ে ছাই ভিজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। আইন মোতাবেক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বদলে ক্ষণস্থায়ী এই সমাধানসূত্রেই আপত্তি সুভাষবাবুর। দিল্লি যাওয়ার আগে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে তা জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার পুষ্পেন্দু সেন না থাকায় উচ্চপদস্থ কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন সুভাষবাবু। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উমাশঙ্কর এসের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। সুভাষবাবু বক্তব্য, গোটা দেশেই তাপবিদ্যুৎ নিয়ে একই সমস্যা। এ রাজ্যে বিদ্যুৎ চাহিদার ৯৭ শতাংশ মেটায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিই। বিদ্যুৎ তৈরিতে বিপুল পরিমাণ ছাই উৎপন্ন হচ্ছে। কয়লার গুণগত মান খারাপের জন্য ছাইয়ের পরিমাণ বাড়ছে। আইন মেনে ছাইয়ের পরিকল্পিত ও বাধ্যতামূলক ব্যবহার দূষণ থেকে মুক্তি দিতে পারে। বাঁচে পরিবেশ। সে জন্যই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার ভাবনা।