পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে অবস্থানে। নিজস্ব চিত্র।
মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে যখন গৃহচ্যুত হওয়ার ক্ষোভে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন ষাটোর্ধ্ব মহিলা সদস্যারা। তখন সেখান থেকে কমবেশি ৫০ মিটার দূরে বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে অবস্থানে বসেছেন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীদের একাংশও। শনিবার থেকেই নতুন নিরাপত্তা এজেন্সির গৃহীত নীতির প্রতিবাদে এই অবস্থান চালাচ্ছেন তাঁরা।
নতুন এজেন্সি হঠাৎ করেই তাঁদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নিতে চেয়েছে। পরীক্ষায় সফল না হলে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে, এমন নানা খবর ভেসে বেড়ানোর পর থেকেই তাঁদের আশঙ্কা, টাকার বিনিময়ে নতুন কর্মী নিয়োগ করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে নতুন এজেন্সি। এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার নামে কর্মী ছাঁটাইয়ের চেষ্টার বিরোধিতা করেই তাঁদের এই অবস্থান। তবে, এই অবস্থান কিন্তু বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকে শিকেয় তুলে দিয়ে নয়। যখন যে সব কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন, তাঁরা কাজ করছেন। যখন যাঁর কোনও দায়িত্ব থাকছে না, তাঁরাই অবস্থানে সামিল হচ্ছেন।
অবস্থানকারীদের একটাই দাবি, নতুন কর্মী নিয়োগ হতেই পারে। কিন্তু ,বর্তমান কর্মীদের কোনও অজুহাতেই ছাঁটাই করা চলবে না। আর যতক্ষণ না এই মর্মে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি মিলবে, ততক্ষণ তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলেও জানাচ্ছেন। শনিবার ও রবিবার নিজস্ব মেডিক্যাল টিমের সাহায্যে সকল নিরাপত্তাকর্মীর শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার পরিকল্পনা ছিল নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির আধিকারিকদের। তবে, শনিবারে তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে যে ভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তার পরে এ দিন দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে আর তাঁদের দেখা মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy