—নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের পর এ বার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সফরে গিয়ে মাওবাদীদের সাম্প্রতিক গতিবিধি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। দুই জেলার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তাঁদের সতর্ক এবং সব রকম ভাবে তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম থেকে সড়কপথে বাঁকুড়া পুলিশ লাইনে হাজির হন মনোজ। পুলিশ লাইনের কনফারেন্স হলে জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ সব ক’টি থানার ওসি ও আইসিদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে দীর্ঘ সময় জুড়ে ছিল মাওবাদীদের গতিবিধি বৃদ্ধি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান বলেন, ‘‘জেলার আইন শৃঙ্খলা-সহ সমস্ত বিষয় ডিজিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানানো হয়েছে। তা শুনে উনি আমাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।’’
বাঁকুড়ার বৈঠক সেরে বিকেল ৫টা নাগাদ পুরুলিয়া যান ডিজি। সেখানে বেলগুমা পুলিশ লাইনে ‘গার্ড অব অনার’ নিয়ে জেলার আইসি ও ওসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মনোজ। ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সঞ্জয় সিংহ, ডিআইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) সুনীল চৌধুরী, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন। তবে এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। পুরুলিয়াতেও ডিজির বৈঠকে মাওবাদী প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। সে বিষয়ে মনোজ নিজে কিছু না বললেও সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘এটা সাধারন তদারকি বৈঠক। আইন-শৃঙ্খলা, বিভিন্ন অপরাধ, মাওবাদী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত তিন মাস ধরে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় মাওবাদী কার্যকলাপ বেড়েছে। সূত্রের আরও দাবি, মাওবাদী নেতা আকাশ ও মাওবাদীদের রাজ্য সম্পাদক অজয় জঙ্গলমহলেই কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। মূলত এই দু’জনের নেতৃত্বেই এ রাজ্যে ফের মাওবাদী সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মাওবাদীরা যে কোনও সময় নাশকতা ঘটাতে পারে, এমনই আশঙ্কা করছে পুলিশ মহল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ দিনের জন্য জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। তা নিয়ে জল্পনার মাঝেই চার জেলায় সফর করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy