পুঞ্চার বাঁধবহাল গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
জলসঙ্কট পুরুলিয়ার নিত্যসঙ্গী। তা সে পানীয় জল হোক বা সেচের। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে পুঞ্চায় নির্মিত জল প্রকল্প সেই সঙ্কট থেকে জেলাবাসীকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
মঙ্গলবার পুঞ্চার বাঁধবহাল গ্রামে এক কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জলের প্রকল্প চালু হল। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়েছে প্রকল্পটি।
জানা গিয়েছে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রকল্পটি পরিচালনা করবে।
পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শিবপ্রদানন্দ বলেন, ‘‘সামাজিক কল্যাণে এই প্রকল্প চালু করা হল। আশা করি, এই প্রকল্প পানীয় জলের চাহিদা অনেকটা মেটাবে। একটি সংস্থাকে জলপ্রকল্পটি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ ব্যাঙ্কের পুরুলিয়ার চিফ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিভিন্ন সামাজিক কাজে আমরা আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকি।’’
প্রকল্পের কাছেই রয়েছে দু’টি বড় জলাশয়। তার পাশে একটি কুয়ো খনন করা হয়েছে। পুকুরের জল চুঁইয়ে কুয়োয় জমা হচ্ছে। কুয়োর জল পাম্পের সাহায্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় প্রকল্পের দু’টি রিজার্ভারে। তারপর রসায়ানাগারে শোধন করে বোতলে ভরা হবে জল।
প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, প্রকল্পের জন্য বিনামূল্যে জমি দিয়েছিল তাঁদের পরিবার। তিনি বলেন, ‘‘২০১৭ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের জলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাতৃসুধা’।’’ তিনি জানান, প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নামমাত্র খরচ নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হবে এই প্রকল্পের জল।’’
পুঞ্চার বাগদা মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী নিয়তাত্মানন্দ, বৃন্দাবনের রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের স্বামী অম্বিকাত্মানন্দ-সহ বিভিন্ন মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা, জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়, বিডিও (পুঞ্চা) অনিন্দ্য ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতো এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ভজহরি দত্ত প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy