E-Paper

ড্রোনের ছবিতে হাতির দলের নতুন ‘অতিথি’

পুরুলিয়ার জঙ্গলে হাতি শাবকের জন্ম এই প্রথম নয়। এর আগে বাঘমুণ্ডি, ঝালদা বা মাঠার ঘন জঙ্গলকেও হাতিরা সংসার বাড়ানোর নিরাপদ জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩১
হাতির দল। কোটশিলার জঙ্গলে।

হাতির দল। কোটশিলার জঙ্গলে। নিজস্ব চিত্র।

হস্তিশাবকের জন্ম হয়েছে কোটশিলা বনাঞ্চলে। বন দফতরের তরফে জানা যায়, হাতিদের গতিবিধি জানতে দিনকয়েক আগে কোটশিলা বনাঞ্চলে ‘ড্রোন’ ওড়ানো হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া ছবিতে নতুন ওই অতিথিকে দেখা গিয়েছে। তাকে ঘিরে রেখেছে মা-সহ দলের বাকি হাতিরা। বনাঞ্চলের নওয়াহাতু বিটের মাড়ামুর জঙ্গলে রয়েছে দলটি রয়েছে জানিয়ে ডিএফও (পুরুলিয়া) অঞ্জন গুহ বলেন, “ড্রোনে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে শাবকটি একেবারেই ছোট। আমাদের ধারণা তার জন্ম হয়েছে ওই জঙ্গলেই।” বনকর্তারা জানাচ্ছেন, দলটিতে ১৫-২০টির মতো হাতি রয়েছে। দলটি সেখান থেকে সরে না যাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় লোকজনকে ওই জঙ্গল এড়ানোর পরামর্শ দিতে টানা মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।

পুরুলিয়ার জঙ্গলে হাতি শাবকের জন্ম এই প্রথম নয়। এর আগে বাঘমুণ্ডি, ঝালদা বা মাঠার ঘন জঙ্গলকেও হাতিরা সংসার বাড়ানোর নিরাপদ জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছে। ডিএফও জানান, মাড়ামুর যে জঙ্গলে শাবক-সহ হাতির দলটি রয়েছে, তা লোকালয় থেকে অনেকটাই দূরে। ঘন ওই জঙ্গলে খাবার ও জলের অভাবও নেই। এক বনকর্তার কথায়, “সবুজ বাড়ছে। ঘনত্ব বাড়ছে জঙ্গলগুলিরও। তাই ঝাড়খণ্ডে না থেকে হাতিরা এ পারে এসে ডেরা বাঁধছে।”

এ দিকে, মাড়ামুর জঙ্গলের পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত ভাবে হাতির আনাগোনার খবর রয়েছে বনাঞ্চলের সিমনি ও লাগোয়া ঝালদা বনাঞ্চলের কলমা পাহাড়ের জঙ্গলে। অযোধ্যা পাহাড়ের গোবরিয়ার জঙ্গলেও হাতির দল রয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। ভোটের আগে চারদিকে হাতির আনাগোনার খবরে খানিকটা উদ্বেগে বনকর্তারা। তবে তাঁদের আশ্বাস, বনকর্মীরা দিনরাত এক করে হাতিদের নজরদারিতে পড়ে রয়েছেন। সুযোগ মতো হাতিদের ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর চেষ্টা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kotshila Forest department

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy