পরিদর্শন: দুয়ারে সরকারের শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
তাঁর ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সাড়া ফেলেছে গোটা রাজ্যে। শিবিরে শিবিরে সরকারি সুবিধা পেতে লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই প্রকল্প কেমন চলছে, তা চাক্ষুষ করতে শিবিরে পৌঁছে গেলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই ওই শিবিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামবুনি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি দুর্গা মন্দিরের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদানের বড় শিবির হয়েছে। অনেকটা সময় শিবির ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবিরে পৌঁছতেই তাঁকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলারা ও এলাকার মহিলারা শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি মাধ্যমে বরণ করে নেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে সাধারণ মানুষ ঠিক মতো সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। ওই কেন্দ্রে থাকা বেশ কিছু হস্ত শিল্পের সামগ্রীর স্টলেও যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কেনাকাটা সারেন। নিজে পছন্দ করে বসার জন্য দু’টি মোড়া কেনেন। কী ভাবে তাঁরা ওই সব জিনিস তৈরি করেন, তার খুঁটিনাটি বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান শিল্পীদের কাছে।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অবাক হয়ে যান শিবিরে উপস্থিত বেশির ভাগ মানুষ। এক মহিলা ছুটে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম সারেন। কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতেও ভিড় জমান। মুখ্যমন্ত্রী কাউকেই নিরাশ করেননি। হাত নাড়িয়েছেন, কথা বলেছেন সকলের সঙ্গে। অতিউৎসাহীদের সামলাতে বেশ নাজেহাল হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীদের। পরিষেবা গ্রহণের জন্য এ দিন শিবিরে আসা সুপ্রীতি মণ্ডল, নন্দিতা সাহারা আপ্লুত। তাঁরা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে জানতে চান, আমরা সরকারি সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি কিনা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ ভাবে আমাদের কাছে সরাসরি এসে খোঁজখবর নেন, ভাবিনি। আমরা খুব খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy