বিদ্যুৎ দফতরের সাব-স্টেশনের দেওয়ালে পুরভোটের দেওয়াল লিখন। সাঁইথিয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তোলা নিজস্ব চিত্র।
ভোট যত এগিয়ে আসছে, তেতে উঠছে জেলার পুরসভাগুলি। ইতিমধ্যেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে সাঁইথিয়া পুরভোটকে কেন্দ্র করে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সরকারি দেওয়াল লিখনের অভিযোগ যেমন উঠেছে, তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির অবশ্য পাল্টা দাবি, তৃণমূল তাদের প্রার্থী ও কর্মীদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
ভোটের এখনও ২৮ দিন বাকি। এর মধ্যেই সাঁইথিয়া শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীহারিপট্টি দলীয় পতাকায় এমনভাবে ছেয়ে দেওয়া হয়েছে যেন, রাত পোহালেই ভোট। শহরজুড়ে দেওয়াল লিখনে সকলেই এগিয়ে থাকতে চায়। এই দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার রাত্রে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজীপল্লিতে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের প্রার্থী ও কর্মীদেরকে নানা ভাবে হুমকী দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনা হল, শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে তৃণমূল-বিজেপি, উভয়েরই দেওয়াল লিখন নজরে পড়ছে।
বারো নম্বর ওয়ার্ডের লাউতোড়ে ঢোকার রাস্তার বাঁ ধারে, ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের দেওয়াল জুড়ে তৃণমূল প্রার্থী শুক্লা মণ্ডলের দেওয়াল লিখন এ বার নজর কেড়েছে। রেল সেতুর তলা দিয়ে যাওয়ার রাস্তার পাশে রেলের দেওয়ালে চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কাজী কামাল হোসেনের নাম, বা বিদায়ি উপপুরপ্রধান শান্তুনু রায়ের নাম মুরাডিহি মাঠ লাগোয়া নব নির্মিত রিক্সা স্ট্যান্ডের পশ্চিম দেওয়ালে ছেয়ে গিয়েছে। আট নম্বর ওয়ার্ডের শশীভূষন দত্ত বালিকা বিদ্যালয়, কমিউনিটি হল ও ডাকবাংলোর দেওয়ালে তৃণমূল প্রর্থীদের দেওয়াল লিখন চোখে পড়ছে। বিধি ভাঙায় পিছিয়ে নেই বিজেপিও। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের এফসিআই গোডাউনের দেওয়ালে গৌতম গোলছার নামে, আট নম্বর ওয়ার্ডে শশীভূষণ বালিকা বিদ্যালয় ও ডাকবাংলার দেওয়ালে শান্তুনু রায়ের নামে দেওয়াল লিখন করেছে।
তৃণমূলের শহর সভাপতি পিনাকী দত্ত বলেন, “আমাদের কর্মীরা যদি সরকারি দেওয়ালে কিছু লিখে থাকে, তাহলে মুছে ফেলা হবে। কিন্তু যারা স্বচ্ছ ভারতের কথা বলে, সেই বিজেপি?” বিজেপির ভোটের দায়িত্বে সাঁইথিয়ায় রয়েছেন জয়দেব পাল। তিনি বলেন, “এমন হয়েছে বলেই তো জানি না। যদি সরকারি দেওয়ালে লেখা হয়ে থাকে, মুছে ফেলব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy