ফাইল চিত্র।
কথা ছিল ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর। তার বদলে কিছু হাতি গেল ঝাড়গ্রামে। বাকি বারোটি শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত দক্ষিণ বাঁকুড়া ছেড়ে নড়েনি। ফলে চিন্তা কাটছে না এলাকাবাসীর।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম থেকে হাতির একটি দল দক্ষিণ বাঁকুড়ায় ঢুকেছে। তাতে রয়েছে ২৬টি হাতি। তিনটি দলে ভাগ হয়ে সেগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। বুধবার ভোরে পিড়রগাড়ি থেকে খেদিয়ে কিছু হাতিকে নিয়ে আসার সময়ে রানিবাঁধের কাছে বুধখিলা গ্রামে ঢুকে পড়ে। থেঁতলে দেয় দু’জনকে। বন দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রানিবাঁধে ১২টি, মটগোদায় আটটি ও পিড়রগাড়িতে ছ’টি হাতি ছিল। রাতে ১৪টি হাতি ঝাড়গ্রামের দিকে চলে গিয়েছে। এখনও রানিবাঁধ ও পিড়রগাড়ি রেঞ্জ মিলিয়ে রয়ে গিয়েছে ১২টি হাতি। শুক্রবার সেগুলিকেও ঝাড়গ্রামে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর।
এক বনকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে রানিবাঁধ, পরে মটগোদা ও পিড়রগাড়ি রেঞ্জের হাতিগুলিকে তাড়ানো শুরু হয়। ফুলকুসমা দিয়ে কয়েকটি হাতিকে পাঠানো হয় ঝাড়গ্রামের দিকে। সেই সময় কয়েকটি দলছাড়া হয়ে পুরনো জায়গায় রয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পুরুলিয়া হয়ে হাতিদের ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল দফতর। তা হলে পথ-বদল হল কেন?
ওই বনকর্তা বলেন, ‘‘হাতিগুলি ভাগ হয়ে থাকায় সমস্যা হয়েছে। তা ছাড়া, খেদানোর সময়ে পথ বদল করছে। বাধ্য হয়ে মটগোদা, ফুলকুসমা হয়ে ঝাড়গ্রামের দিকে পাঠাতে হয়েছে।’’ ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) দেবাশিস মহিমাপ্রসাদ প্রধান জানান, রানিবাঁধ রেঞ্জের পুনস্যা বিট এলাকায় ন’টি ও সারেঙ্গার পিড়রগাড়ি রেঞ্জ এলাকায় তিনটি হাতি এখন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy