Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কজওয়ের হাল খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞেরা

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত গন্ধেশ্বরীর উপর কেশিয়াকোল ও বাঁকুড়া শহরের সংযোগকারী হিসেবে একটি কজওয়ে ছিল। কিন্তু বর্ষায় ওই কজওয়ে ডুবে থাকত। স্থানীয় বাসিন্দারা, দীর্ঘদিন ধরে উচু কজওয়ে বানানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়েছিলেন।

বিচ্ছিন্ন: সাম্প্রতিক নিম্নচাপের পরে সতীঘাট কজওয়ে। ফাইল চিত্র

বিচ্ছিন্ন: সাম্প্রতিক নিম্নচাপের পরে সতীঘাট কজওয়ে। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০০:৫৭
Share: Save:

গন্ধেশ্বরী নদীর বানে বাঁকুড়ায় সতীঘাট কজওয়ের রাস্তা ভেঙে পড়ার সমস্যা মেটাতে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। শুক্রবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু তাঁর দফতরে পূর্ত (সিভিল) ও সেচ দফতরের কর্তাদের নিয়ে একটি আলোচনায় বসেন সতীঘাট কজওয়ের সমাধান সূত্র বের করার জন্য। ওই বৈঠকে মৌমিতাদেবী সিদ্ধান্ত নেন, সতীঘাট কজওয়ের গঠন কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে পূর্ত দফতরের ডিজাইনিং বিভাগের কর্তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে। ওই দফতরকে চিঠি দিয়ে বিশেষজ্ঞদের বাঁকুড়ায় ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

মৌমিতাদেবী বলেন, ‘‘বছর বছর কজওয়েটির স‌ংযোগকারী রাস্তা ভেঙে পড়ছে। এই সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূর্ত দফতরের ডিজাইনিং বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেব আমরা।’’ শীঘ্রই ওই দফতরের কর্তাদের বাঁকুড়ায় আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত গন্ধেশ্বরীর উপর কেশিয়াকোল ও বাঁকুড়া শহরের সংযোগকারী হিসেবে একটি কজওয়ে ছিল। কিন্তু বর্ষায় ওই কজওয়ে ডুবে থাকত। স্থানীয় বাসিন্দারা, দীর্ঘদিন ধরে উচু কজওয়ে বানানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়েছিলেন। সেই দাবি মেনেই বর্তমান কজওয়েটি কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করে পূর্ত (সিভিল) দফতর। তবে নদীতে বন্যার জল একটু বাড়লেই জলের তোড়ে সেতুর সংযোগকারী রাস্তা ভেসে যাচ্ছে। কজওয়েতে নদীর জল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সতীঘাট ও কেশিয়াকোল এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

বহু ঘরবাড়ি ও নদীর চরে অবস্থিত একটি আবাসনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এই ঘটনায়। অন্য দিকে, মাসের পর মাস বর্ষার পরে সেতুটি বন্ধ থাকছে সংস্কারের জন্য। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতি বর্ষায় প্রায় রুটিন হয়ে পড়া এই ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি পেতে কজওয়েটিকে সঠিক পদ্ধতিতে নির্মাণের দাবি তুলে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলাশাসক ওই কজওয়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রশাসনের এ দিনের বৈঠকের পরে স্থানীয় মানুষজন আশার আলো দেখছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE