প্রতীকী ছবি।
ডাকাতির পরে কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। এখনও পর্যন্ত নলহাটির লোহাপুরের ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। কাউকে গ্রেফতার কিংবা আটকও করা হয়নি। রামপুরহাটের এসডিপিও ধৃতিমান সরকার অবশ্য আশাবাদী। তাঁর দাবি, ‘‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র উঠে এসেছে। তদন্তের কিনারা হল বলে।’’
এ দিকে, একসঙ্গে বারো-তেরো ভরি গয়না এবং তিন লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়ে যাওয়ায় একমাত্র ছেলের হিমোফেলিয়ার চিকিৎসা কী ভাবে করাবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না লোহাপুর হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা পুলক নন্দী। পুলকবাবু জানান, ছেলের ছ’বছর বয়সে হিমোফেলিয়া রোগ ধরা পড়ে। তখন ছ’হাজার টাকাও হাতে ছিল না। ছেলের রোগের ধরণ দেখে ধীরে ধীরে টাকা জমাতে শুরু করি। তাঁর কথায়, ‘‘লুকিয়ে টাকাটা জমাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম কখন, কী ভাবে লাগে। সেটা এ ভাবে ডাকাতি হবে
ভাবতে পারিনি।’’
স্থানীয় হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে পুলকবাবুর একমাত্র ছেলে দেবপ্রিয়। দুষ্কৃতীরা দেবপ্রিয়র হাত-পা বেঁধে রেখেছিল। নিজেরই বাড়িতে চালু থাকা একটি প্যাথলজি সেন্টারের মালিক পুলকবাবু। স্ত্রী আনন্দময়ী মণ্ডল স্থানীয় নলহাটি ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স। আনন্দময়ীদেবী বলেন, ‘‘ও যে টাকা জমাচ্ছে টের পাইনি। আমি যাতে বেশি টাকা খরচ করে না ফেলি, সেই জন্য আমার স্বামী এমনটা করছিল। এখন চিকিৎসা করব কী করে!’’
পুলকবাবুর দাবি, দুষ্কৃতীরা তাঁর কাছে ৩৫ লক্ষ টাকা আছে বলে দাবি করেছিল। তারা বাংলা-হিন্দি মিশিয়ে কথা বলছিল। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা এসে তাঁর স্ত্রী-র মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা চায়। তারপরেই পুলকবাবুকে ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে দু’জনকেই বাথরুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। পরে দু’টো আলমারির তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা আধ ঘণ্টার মধ্যে গয়না ও টাকা নিয়ে পালায়। পুলকবাবুর কথায়, ‘‘পরে জেনেছি দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে দূরে দাঁড় করানো একটি গাড়িতে করে চম্পট দেয়।’’
গণডেপুটেশন। একাধিক দাবিতে নলহাটি থানার হরিদাসপুর পঞ্চায়েতে গণ-ডেপুটেশন দিল বিজেপি র হরিদাসপুর অঞ্চল কমিটি। পঞ্চায়েত এলাকায় রেশন দোকানের সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা, একশো দিনের প্রকল্পে নতুন জবকার্ড প্রদান, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা নিয়ে সমস্যার সমাধানের
দাবিও রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ডেপুটেশনে শতাধিক কর্মী-সমর্থক যোগ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy