পাত-পেড়ে: চলছে পাশাপাশি বসে ভোজ খাওয়া। ছবি: নিজস্ব চিত্র
শুরুটা ছিল অবশ্য মন্দির সংস্কারের অভিষেক উপলক্ষ্যে খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান। এবারে সেই অনুষ্ঠানই কার্যত বিজয়া সম্মিলনীর রূপ নিল। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি একাসনে পাতে পাত ঠেকিয়ে খেলেন পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ।
গতবছর ময়ূরেশ্বরের কুণ্ডলা সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সংস্কার এবং অভিষেক উপলক্ষ্যে পঙ্ক্তিভোজের আয়োজন করে কুণ্ডলা স্বেচ্ছাসেবী গ্রামীণ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সংস্থা। এবারেও সেই আয়োজন করেন তাঁরা। কিন্তু এবারের পঙ্ক্তিভোজ কার্যত বিজয়া সম্মিলনীতে পরিণত হল। গতবছর যারা পঙ্ক্তিভোজে যোগ দিয়েছিলেন এ বারও তাঁদের অনেকেই সামিল হন। বিজয়ার পরে এই প্রথম দেখা। স্বভাবতই পঙ্ক্তিভোজে বসার আগে নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেল অনেককেই। তাঁদের কেউ দিনমজুর, কেউ গৃহ পরিচারিকা, কেউ বা সম্পন্ন পরিবারের গৃহবধু। বিজয়ার পাশাপাশি সমস্ত ব্যবধান ঘুচিয়ে পঙ্ক্তিভোজে সামিল হলেন তাঁরা। পরিচারিকা সখি বাদ্যকর, মিনতি মাহারাদের পাশাপাশি দেখা গেল সম্পন্ন পরিবারের গৃহবধু মুনমুন মুখোপাধ্যায়, দূর্বা মুখোপাধ্যায়দের। খিচুড়ি, আলুর দম, চাটনি আর পায়েস। তাই খেয়ে ডলি মুখোপাধ্যায়, ক্যামেলিয়া মুখোপাধ্যায়, জ্যোৎস্না ডোম, মানসী চুনারীরা বলেন, ‘‘একসঙ্গে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। তাই এই দিনটার জন্য প্রতীক্ষায় ছিলাম।’’ একই প্রতিক্রিয়া নির্মল মণ্ডল, সুবীর বাগদিদেরও। তাঁরা বলেন, ‘‘গত বছর পঙ্ক্তিভোজে যারা বাইরের গ্রাম থেকে এসেছিলেন তাঁদের অনেকের সঙ্গেই একবছর পর দেখা হল। তাই একসঙ্গে পঙ্ক্তিভোজের পাশাপাশি বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়টাও হয়ে গেল।’’
আয়োজক সংস্থার পক্ষে দিলীপ মুখোপাধ্যায়, বিপদতারণ মণ্ডলরা বলেন, ‘‘এলাকার ১০ /১২টি গ্রামের মানুষের যোগদানে এবারের পঙ্ক্তিভোজে বিজয়াসম্মিলনীর ছোওয়া লেগেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy