আদালত চত্বরে সপার্ষদ গুসকরার পুরপ্রধান বুর্দ্বেন্দু রায়। —নিজস্ব চিত্র।
সারদা-কাণ্ডে রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের গ্রেফতারের দিন রেল অবরোধ করেছিলেন গুসকরা পুরবোর্ডের তৃণমূলের পুরপ্রধান বুর্দ্ধেন্দু রায়। মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন নিলেন। পুরপ্রধানের দাবি, তাঁকে আর পিএফ গ্রেফতার করেছে। বোলপুরের আরপিএফ অবশ্য বলছে, বুর্দ্ধেন্দুবাবুকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মঙ্গলবার অভিযুক্ত পুরপ্রধানের পক্ষে আইনজীবী অনামিকা সিংহ বলেন, “বোলপুরের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সৌরভ নন্দীর কাছে জামিনের আর্জি জানাই। পাঁচ শো টাকার ব্যক্তিগত বণ্ডে তিনি জামিন মঞ্জুর করেছেন। ২৭ মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারক।”
আরপিএফ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত ১৫ ডিসেম্বর বর্ধমানের গুসকরা স্টেশনে শহরের পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান বুর্দ্ধেন্দু রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের শতাধিক কর্মী সমর্থক রেল অবরোধ করে। সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত আধ ঘণ্টার ওই রেল অবরোধে, গুসকরা স্টেশনে হাওড়া থেকে আজিমগঞ্জগামী গণদেবতা এক্সপ্রেস-সহ আশেপাশে আটকা পড়ে বহু যাত্রীবাহী এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট ও পাসেঞ্জার ট্রেন। ওই ঘটনায় গুসকরা স্টেশন মাস্টার আরপিএফের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে। আরপিএফের এ এস আই ফিরোজ আখতার এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেন। গত পয়লা এপ্রিল, ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে অভিযুক্ত পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে।
গত পয়লা এপ্রিল সেই ঘটনায় ওয়ারেন্টও জারি হয়। এ দিন বুর্ধেন্দুবাবু অবশ্য বলেন, “গত রবিবার আমাকে বোলপুর আরপিএফ থেকে ফোন করে গুসকরা রেল স্টেশন নিয়ে আলোচনা রয়েছে জানিয়ে বোলপুর আর পিএফ অফিসে আসতে বলা হয়। আমি তাঁদেরকে মঙ্গলবার দিন আলোচনা করার সময় দিই। এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আমি বোলপুর আরপিএফ অফিসে আলোচনা করতে এলে, তাঁরা জানায় আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
তাঁর আরও দাবি, কি কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে, আরপিএফ জানায় গত ১৫ ডিসেম্বর গুসকরা স্টেশনে রেল অবরোধের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আদালতে গিয়ে আইনজীবী দিয়ে জামিন নিতে হবে। বোলপুরের আর পিএফ ইনস্পেক্টর সৌমেন মল্লিক অবশ্য বলেন, ‘‘রেল অবরোধ নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy