Advertisement
E-Paper

হেনস্থার অভিযোগ উঠে এল মিছিলেও

সাঁতুড়ি ব্লক অফিসের ওই ঘটনায় দুই দলের রাজনৈতিক লড়াই চলছে সোশাল মিডিয়াতেও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী ও বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অরূপ আচার্য ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করে একে অন্যকে বিঁধছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০২:৩০
 সাঁতুড়ির মিছিলে বিজেপিরর নেতা-কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

সাঁতুড়ির মিছিলে বিজেপিরর নেতা-কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুই মহিলা জনপ্রতিনিধিকে হেনস্থা করেছেন তৃণমূলের নেতা, সম্প্রতি এই অভিযোগে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লক অফিস ঘেরাও করেছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। কিন্তু সাঁতুড়ির রাজনীতিতে ঘুরেফিরে আসছে সে প্রসঙ্গ।

শুক্রবার কৃষি আইনের বিরোধিতা করে মুরাড্ডি এলাকায় তৃণমূল যে মিছিল করেছিল, সেখানে ওই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। পাল্টা শনিবার বিকেলে হাসডিমা থেকে সাঁতুড়ি পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। যাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই টাড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান শান্তি মুর্মু ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মমতা টুডু ছিলেন সামনের সারিতে। ছিলেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার প্রমুখ। কৃষি আইনের পক্ষে প্রচারের পাশাপাশি, আদিবাসী মহিলাদের হেনস্থার অভিযোগও তোলা হয় মিছিল থেকে।

বিজেপির দাবি, হাজার দশেক কর্মী-সমর্থক এ দিনের মিছিলে পা মেলান। তবে পুলিশের হিসেবে, সংখ্যাটা দেড়-দু’হাজার। পরে সুভাষবাবু বলেন, ‘‘আমাদের জনপ্রতিনিধি দুই আদিবাসী মহিলাকে হেনস্থা করে তৃণমূল তাদের দলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছে। বিধানসভা ভোটে মানুষ তৃণমূলকে এর যোগ্য জবাব দেবেন।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের সাঁতুড়ির ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি বরাবরই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে রাজনীতি করে। ব্লক কার্যালয়ে আমাদের নেতার উপরেই বিজেপির কর্মীরা চড়াও হয়েছিল। তার ভিডিয়ো ফুটেজ আছে আমাদের কাছে।’’

সাঁতুড়ি ব্লক অফিসের ওই ঘটনায় দুই দলের রাজনৈতিক লড়াই চলছে সোশাল মিডিয়াতেও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী ও বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অরূপ আচার্য ফেসবুকে ‘পোস্ট’ করে একে অন্যকে বিঁধছেন। রঘুনাথপুর এলাকা বাঁকুড়া লোকসভা ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে। এ দিনই রামপ্রসাদবাবু ফেসবুকে কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূলের মিছিলের জন্য়ই সাংসদকে সাঁতুড়িতে আসতে হয়েছে। আর সেই সুবাদেই সাঁতুড়ির বাসিন্দারা তাঁকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তবে অভিযোগ উড়িয়ে সুভাষবাবু বলেন, ‘‘সাংসদ হওয়ার পরে বার পাঁচেক সাঁতুড়ি এসেছি।”

TMC BJP Santuri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy