মমতাজ বেগম ও আলি বুরহান। পুরুলিয়া শহরে। নিজস্ব চিত্র।
বয়স্ক বাবা-মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ছেলে-পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। হাই কোর্ট বাঁকুড়া শহরের স্কুলডাঙার বয়স্ক দম্পতি আলি বুরহান ও মমতাজ বেগমকে সেই বাড়িতে ঢুকিয়ে তাঁদের ছেলে ও পুত্রবধূকে সেখান থেকে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দিল পুলিশকে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বয়স্ক দম্পতির অনুমতি ছাড়া তাঁদের ছেলে ও পুত্রবধূ ওই বাড়িতে ঢুকতে পারবেন না। এমনটাই জানিয়েছেন ওই দম্পতির আইনজীবী সৌগত মিত্র। শুক্রবার বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘আদালতের রায়ের কপি দেখিনি। রায় জেনে
মন্তব্য করব।’’
সৌগতবাবু জানান, গত বছরের ২০ মার্চ নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন চালিয়ে ৭৭ বছরের ওই বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। তাঁরা ওঠেন পুরুলিয়া শহরের নীলকুঠিডাঙায় মেয়ের কাছে। নভেম্বরে বাঁকুড়া সদর থানায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে চেয়ে আবেদন করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় ৩১ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরতে চেয়ে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের বারস্থ হন।
সৌগতবাবু বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মানতা দম্পতির ছেলে এবং পুত্রবধূকে ওই বাড়ি থেকে বার করে পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁদের বাড়ি ফেরানোর জন্য বাঁকুড়া সদর থানাকে
নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিন পুরুলিয়ায় মেয়ের বাড়িতে বসে আলি বুরহান অভিযোগ করেন, ‘‘ছেলে-পুত্রবধূ বাড়ি, সম্পত্তি তাদের লিখে দিতে হুমতি দিত। রাজি না হওয়ায় আমার স্ত্রীকে মারধর করত। নিজের বাড়ি থেকেই বার করে দেবে ভাবিনি। হাই কোর্টের উপরে ভরসা ছিল। এ বার নিজের বাড়িতে ফিরতে চাই। ছেলে আর পুত্রবধূকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেব না।’’
যদিও তাঁর ছেলে আশমান আলির দাবি, ‘‘আমরা বাবা-মাকে বাড়িতে থাকতে বাধা দিইনি, তাড়িয়েও দিইনি। বাবা-মা আমাদের বাড়ি থেকে বার করে দিলে কোথায় যাব? আমার তেমন রোজগার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy