Advertisement
E-Paper

ধর্ষণে বাধা পেয়ে বধূর মাথায় রড

ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে এক বধূকে আঘাত করে জখম করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মাথায় চোট নিয়ে পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩০

ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে এক বধূকে আঘাত করে জখম করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মাথায় চোট নিয়ে পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের। হাসপাতালের শয্যায় মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে ওই বধূ জানান, ঘটনার দিন ছেলে ও মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে তিনি খাটে একা শুয়েছিলেন। সে সময় স্বামীও বাড়িতে ছিলেন না। আচমকা তাঁরই এক পড়শি ঘরে ঢুকে তাঁকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। ওই বধূ বলেন, ‘‘ওই লোকটা আগেও আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। আমি গা করিনি। কিন্তু, ফাঁকা ঘরের সুযোগ নিয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করবে ভাবতেও পারিনি! আমিও কোনও রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই।’’ বধূর দাবি, তখন পড়ে থাকা একটি রডের টুকরো দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে ওই ব্যক্তি। মাথা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে।

ততক্ষণে ছেলে স্কুল থেকে ফিরে এসেছিল। ওই অবস্থাতেই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান বধূটি। নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই বধূর ছেলে জানায়, পুলিশ এসে মাকে হাসপাতালে পাঠায়। মহিলার অভিযোগ, ‘‘ওই লোকটাকে পুলিশ এখনও ধরেনি। উল্টে সে আমাকে হুমকি দিচ্ছে যে, পুলিশের কাছে গেলে ফল ভাল হবে না। আর পুলিশ এসে বলেছে, যে রডের টুকরো দিয়ে আমার মাথায় মারা হয়েছে, সেটা আমাকেই খুঁজে নিয়ে আসতে হবে।’’ তবে মফস্সল থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মোটেই রড খুঁজে আনতে বলা হয়নি। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার মাথায় ক্ষত রয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাইও পড়েছে। ঘটনাটি সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার।

Rod Rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy