প্রতীকী ছবি
অতিমারি পরিস্থিতিতে রক্তের আকাল বীরভূমের তিনটি মহকুমা হাসপাতালে। সব থেকে বেশি অভাব নেগটিভ গ্রুপের রক্তের। এর ভাঁড়ার একবারে শূন্য বললেই চলে। শুধুমাত্র সিউড়ি সদর হাসপাতালে এক ইউনিট এবি নেগেটিভ রক্ত মুজত আছে।
সিউড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে ‘এ পজিটিভ’ রক্ত ৩ ইউনিট, ‘বি পজিটিভ’ রক্ত ১৯ ইউনিট এবং ‘ও পজিটিভ’ রক্ত ৯ ইউনিট মজুত আছে। শুধুমাত্র ‘এবি নেগটিভ’ গ্রুপের রক্ত আছে এক ইউনিট। অপরদিক বাকি নেগটিভ গ্রুপের যেমন নেই, একই সঙ্গে নেই ‘এবি পজিটিভ’ ও ‘ও নেগেটিভ’, ‘এ নেগেটিভ’ , ‘বি নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্ত। এর ফলে রক্তের প্রয়োজন রয়েছে এমন রোগীদের নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, তাদের ভাঁড়ারেও রক্ত খুবই কম রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২ ইউনিট রক্ত রয়েছে। তাও আবার শুধুই পজিটিভ গ্রুপের। নেগটিভ গ্রুপের রক্ত মজুত সংখ্যা শূন্য। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে রক্তের মজুত বাকি দুই হাসপাতাল থেকে বেশি হলেও অন্য সময়ের চেয়ে অনেক কম।
রামপুরহাট হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করেন জেলার দুশোর বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী। এদের মধ্য প্রায় ১০-১৫ জনের নেগটিভ গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন হয়। রামপুরহাট হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানান, তাঁদের কাছে মোট ২০ ইউনিট রক্ত মজুত আছে। সবই পজিটিভ গ্রুপের, নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত একবারে শূন্য। এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, অতিমারি পরিস্থিতি আর কার্যত লকডাউন, এর কারণে রক্তদান শিবির আয়োজন একবারে বন্ধ আছে। তাই হাসপাতালগুলিতে রক্তের সঙ্কট চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy