প্রতীকী ছবি।
শুধু বিষ্ণুপুরের সরকারি টুরিস্ট লজ নয়, ব্যবসায়ীদের থেকে জানা যাচ্ছে, সোমবার থেকে খুলছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার অন্য অনেক পর্যটনকেন্দ্রের বেসরকারি লজ আর হোটেলও।
বাঁকুড়ার খাতড়ার মুকুটমণিপুরে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৫টি লজ রয়েছে। স্থানীয় ‘হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সুদীপ সাহু ও সহ-সভাপতি সঞ্জীব দত্ত জানান, মার্চের ২৪ তারিখ থেকে ওই পর্যটনকেন্দ্রের সমস্ত লজ ও হোটেল বন্ধ ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দু’-এক জন গার্ড থাকতেন। তাঁরা বলেন, ‘‘সরকারি বিধি মেনে সোমবার থেকে হোটেল ও লজগুলি ফের খোলা হচ্ছে। রবিবার সর্বত্র জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।’’ তাঁরা জানান, প্রতিদিন জীবাণুনাশক ছেটানোর ব্যবস্থা থাকছে। পর্যাপ্ত দস্তানা ও ‘হ্যান্ড স্যানিটাজ়ার’ রাখা হয়েছে। নিয়ম মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সব কাজকর্ম হবে। বিষ্ণুপুর লজ় ও হোটেল মালিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অসিত চন্দ্র বলেন, “আমরা লজ ও হোটেলগুলি খুলছি। সব রকম নিরাপত্তা নিয়েই কাজ চলবে।”
পুরুলিয়া জেলা হোটেল ও লজ মালিকদের সংগঠনের সভাপতি মোহিত লাটা জানান, সোমবার থেকে অতিথি আবাসের দরজা খোলার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে হবে, বলা হয়েছে সে কথাও। অযোধ্যাপাহাড়ে অতিথি আবাস রয়েছে মোহিতবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘অতিথি এলে তাঁর ব্যাগপত্র স্যানিটাইজ় করা হবে। দেখা হবে, মাস্ক রয়েছে কি না। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা তো আছেই।’’ মোহিতবাবু জানান, ঘরেই পৌঁছে দেওয়া হবে খাবার। অতিথি নিজেই যাতে খাবার প্লেটে নিয়ে নেন এবং খাবার পর প্লেট ঘরের বাইরে রেখে দেন, তা বলে দেওয়া হবে। সকালে এক জায়গায় বসে প্রাতঃরাশ করা এড়িয়ে চলা হবে।’’ রিসেপশনে ভিড় এড়ানোর জন্য ‘নেট-ব্যাঙ্কিং’-এ লেনদেনে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
হোটেল আর লজ খোলায় স্বস্তিতে শ্বাস ফেলেছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। তবে এখনও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। লকডাউনের জেরে বহু মানুষই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পর্যটক কতটা হবে, তা নিয়ে চিন্তা থাকছে। গড়পঞ্চকোট এলাকার একটি অতিথি আবাসের ম্যানেজার সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ প্রশাসন থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। কোনও নির্দেশিকাও পাইনি। মানুষের মন থেকে তো এখনও করোনা আতঙ্ক দূর হয়নি। আচমকা লকডাউনে অনেক বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। লোকসানও হয়েছে। কর্মী নেই। এখনই খোলার কথা ভাবছি না।’’ গড়পঞ্চকোট এলাকারই অন্য একটি অতিথি আবাসের ম্যানেজার বিকাশ মাহাতো বলেন, ‘‘কোনও বুকিং নেই। এই অবস্থায় বাইরে থেকে এসে কারা থাকবেন? দীর্ঘদিন হোটেল বন্ধ। কর্মীরা সবাই বাড়ি চলে গিয়েছে। এখনই খোলার কথা ভাবছি না।’’
অন্য দিকে, বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র শুশুনিয়ার সরকারি কটেজ মুরুৎবাহা ইকো পার্ক ও যুব আবাস এখনই পর্যটকদের জন্য খোলা যাচ্ছে না। বিডিও (ছাতনা) শাশ্বতী দাস বলেন, “যুব আবাসে কোয়রান্টিন সেন্টার আর মুরুৎবাহা ইকো পার্ক চিকিৎসকদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy