আদালতের পথে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র
জাল সিমকার্ড বিক্রির অভিযোগে পুরুলিয়ায় গ্রেফতার হলেন দু’জন। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের জেলা স্কুল মোড় এলাকার একটি দোকানে আচমকা হানা দিয়ে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আশিস অগ্রবাল ও সমীর মাইতি। দু’জনেই পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা। আশিসবাবু দোকানটির মালিক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে ১৪৩টি সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে।
কী ভাবে চলছিল এই ব্যবসা?
পুলিশ জানিয়েছে, নতুন সিমকার্ড কেনার জন্য পরিচয় এবং ঠিকানার প্রামণ লাগে। সেই সমস্ত নথিপত্র দাখিল করার পরে টেলিকম সংস্থা সেগুলি যাচাই করে। তার পরে চালু হয় সিমকার্ড। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই দোকানে যাঁরা নতুন সিমকার্ড কিনতে যেতেন তাঁদের কারও কারও নথি নকল করে রেখে দিতেন ধৃতেরা। অন্য কোনও উপায়েও তাঁরা ভুয়ো নথি
জোগাড় করতে পারেন। পরে সেই সমস্ত নথি দিয়েই আরও সিমকার্ড তোলা হত। পরে বেশি দামে সেগুলি বিক্রি করা হত।
তবে এক কথায় যে জাল সিম মিলত এমনটা নয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, খরিদ্দার অচেনা হলে বিনা নথির সিম বিক্রির কথা অস্বীকার করতেন ওই দোকানদার। তবে ওই দোকান থেকে নথি ছাড়া সিম কেনা পরিচিত কারও কথা বললে সিম মিলত। দোকানে হানা দিয়ে চালু করে রাখা অনেক সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি আগে থেকে চালু করে রাখা ছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, যে সিমকার্ডগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি কাদের নামে রয়েছে তা খুঁজে বের করে গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।
ইতিমধ্যেই কত জনের কাছে ভুয়ো নথির সিমকার্ডগুলি পৌঁছেছে সেই খোঁজ নিতে শুরু করেছে পুলিশ। ওই পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘এই ধরনের সিমকার্ড অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই ধরণের কারও হাতে সিমগুলি গিয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জেরা করে এর জাল কতদূর ছড়িয়ে আছে তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
শহরের ওই দোকানটিকে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy