জন্ম থেকেই এক পা নেই। ডান পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চলাফেরা করেন। সে ভাবেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসআইআরের ৯৯ শতাংশ কাজ সেরে নজির তৈরি করেছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের জামশুলি গ্রামের বিএলও শোভানারা বায়েন।
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘ওঁর শারীরিক সমস্যার কথা জানার পরে এসআইআরের কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, অসুবিধা হবে না। কথা রেখেছেন।’’
একত্রিশ বছরের শোভানারা জানান, শারীরিক সমস্যা নিয়েই তিনি স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এখন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কাজ করেন। তবে বিএলও-র দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকায় বিএলও-র হওয়ার মতো কেউ না থাকায়তিনিই জামশুলি গ্রামের ২৩৮ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।
তাঁর কথায়, ‘‘আমার এলাকায় ১০২২ ভোটার। তাই শুরু থেকেই কাজে গতি বাড়িয়েছিলাম। সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েছি। তারপরে এক পায়ে ভর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে ঘুরে এসআইআরের কাজ চালিয়ে গিয়েছি।’’ জানান, বাড়িতে ইন্টারনেটের সমস্যা রয়েছে। তাই পড়শির বাড়িতে ফর্মের তথ্য তোলার কাজ করতে যান। তবে এলাকাবাসী ও সহকর্মীরা তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সে জন্য তাঁদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন।
বিডিও (বিষ্ণুপুর) সোমশঙ্কর মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুর ব্লক ও পুরসভা মিলিয়ে ১৯৭টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ১৫ জন বিএলও একশো শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছেন। শোভানারা-সহ ১৭ জন বিএলও ৯৯ শতাংশ বা তার বেশি কাজ সেরেছেন। ১৩২ জন ৯০ শতাংশ কাজ করেছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)