E-Paper

মিলল না নথি, রিপোর্ট যাচ্ছে স্বাস্থ্যভবনে

বাঁকুড়া জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “ওই ভাউচারগুলি দিয়ে কী কেনা হয়েছিল, তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর খতিয়ে দেখবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:১৭
বড়জোড়া সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে।

বড়জোড়া সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। —ফাইল চিত্র।

দু’দিন দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও মিলল না ওষুধ, পরীক্ষার ‘কিট’ কেনার দরপত্র-সংক্রান্ত নথি। লিখিত ভাবে স্বাস্থ্যভবনকে তা জানিয়ে বড়জোড়া সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে তল্লাশি বন্ধ করলেন বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারীরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নথি না মিললেও বেশ কিছু ‘ভাউচার’ উদ্ধার হয়েছে। সেগুলির কোনওটি ৫০ হাজার বা কোনওটি ৯০ হাজার টাকার। রিপোর্টের সঙ্গে ‘ভাউচার’-গুলিও রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।

বাঁকুড়া জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “ওই ভাউচারগুলি দিয়ে কী কেনা হয়েছিল, তা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর খতিয়ে দেখবে।”

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার ওষুধ ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার সামগ্রী কেনে বড়জোড়া সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। বিলের কিছু টাকা প্রথমে দেওয়া হলেও সিংহ ভাগ বকেয়া রয়েছে বলে দাবি সংস্থার। বার বার চেয়েও টাকা না পেয়ে প্রথমে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য দফতর ও পরে স্বাস্থ্যভবনে অভিযোগ জানায় সংস্থাটি। তদন্তে নেমে ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বহু অনিয়ম খুঁজে পায় স্বাস্থ্যভবন।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদে ওষুধপত্র ও স্বাস্থ্যসামগ্রী কেনার জন্য ‘ই-টেন্ডার’ ডাকা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল। তার প্রেক্ষিতে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলাকে ই-টেন্ডারের নথিপত্র খুঁজে বার করতে নির্দেশ দেয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার হাসপাতালে তল্লাশি চললেও কোনও নথি পাওয়া যায়নি।

এ দিকে, বড়জোড়া সুপারস্পেশালিটির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন, ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’। সংগঠনের অভিযোগ, নিম্ন মানের ওষুধ ব্যবহারের জন্য রোগীদের সেরে উঠতে যেমন সময় লাগছে, তেমন তাঁদের শরীরে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার ‘কিটের’ খারাপ মানের প্রভাবও পড়ছেচিকিৎসায়। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছে ওই সংগঠনটি।

পাশাপাশি, ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে হাসপাতাল সুপার ও ব্লক স্বাস্থ্য-কর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও তাঁদের সাহায্যের জন্য যোগ্য কর্মী নিয়োগের দাবি তোলা হয়েছে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “এই ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। যথাযথ তদন্ত ও আগামী দিনে এমন অনিয়ম রুখতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের দাবি তোলা হয়েছে।”

এ দিন হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের তরফেও ঘটনার তদন্ত চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকশ্যামল সরেন বলেন, “রাজ্যের নজরদারিতে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। ওই সংগঠনের দাবি ঊর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষকে জানাব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

barjora

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy