সার্কিট হাউসে। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা ভোটে বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে পুরুলিয়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক। তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মলয়বাবু এবং দলের জেলা নেতৃত্বের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন দলের একাধিক কাউন্সিলর। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথে দুয়েক জন কাউফন্সিলর ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও দেন।
শনিবার রাতে পুরুলিয়ার দলীয় কাউন্সিলরদের বৈঠকের ব্যাপারে জানানো হয়। মলয়বাবুকে পুরুলিয়ার পর্যবেক্ষক করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রের খবর, কয়েক জন কাউন্সিলর বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর গিয়েছে নেতৃত্বের কাছে। এই প্রেক্ষিতে পুরুলিয়া পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গে মলয়বাবুর বৈঠক জেলা রাজনৈতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। বৈঠকে মলয়বাবু ছাড়াও ছিলেন দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, বরিষ্ঠ সহসভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারাণি টুডু। দু’-এক জন বাদে সব কাউন্সিলরই বৈঠকে এসেছিলেন। এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মলয়বাবু। মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরির কথা বলেছেন। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের প্রচারে জোর দিতে বলেছেন।’’ তিনি জানান, বৈঠকে কাউন্সিলরদের মতামত চাওয়া হলে, অনেকেই নেতৃত্বের উপরে ক্ষোভ উগরে দেন। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন দুয়েক জন কাউন্সিলর। তাঁদের এক জনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘জয় শ্রীরাম সকলেই বলতে পারেন। এটা কোনও দলের শ্লোগান নয়।’’ তৃণমূলের কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাসের বক্তব্য, ‘‘মানুষের ক্ষোভ এক দিনে হয়নি। নেতৃত্ব এতদিন গুরুত্ব দেননি। তবে দল নিশ্চয় ঘুরে দাঁড়াবে।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে এক কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, রাজ্যের এক নেতার নির্দেশে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক সংস্কৃতি নষ্ট করা হয়েছে। বলপূর্বক দখলের রাজনীতি মানুষ মেনে নেয়নি। পুরসভার কাজকর্ম নিয়েও কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মলয়বাবু কিছু জানাতে চাননি। শুধু বলেন, ‘‘খুবই ভাল বৈঠক হয়েছে।’’ কাউন্সিলরদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ রকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই।’’ বৈঠকে উপস্থিত পুরুলিয়া পুরসভার উপ পুরপ্রধান বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘মলয়বাবু কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy