E-Paper

আবাস যোজনার টাকা দিয়ে মিষ্টিমুখ

ঘটনা হল, ওই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সোমনাথ কর্মকার ওরফে রঞ্জন নির্দল থেকে জিতলেও পরে কংগ্রেসে যান। সুরেশের বিরুদ্ধে অনাস্থাও এনেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৬
মিষ্টির প্যাকেট হাতে জবা কান্দুর বাড়িতে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল।

মিষ্টির প্যাকেট হাতে জবা কান্দুর বাড়িতে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। নিজস্ব চিত্র।

আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির কিস্তির টাকা পাইয়ে দিতে পুরপ্রতিনিধি টাকা চাইছেন বলে আগে অভিযোগ তুলেছিলেন ঝালদা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জবা কান্দু। রবিবার মিষ্টির প্যাকেট হাতে জবার বাড়িতে গিয়ে পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন। পরে তিনি দাবি করেন, ‘‘অত্যন্ত লজ্জাজনক অভিযোগ বিষয়। ওই মহিলার বাড়ি তৈরির কিস্তির টাকা আটকে রাখা হয়েছিল। সেই টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ জন্য কোনও টাকা কাউকে না দিতে বলে এসেছি।’’

ঘটনা হল, ওই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সোমনাথ কর্মকার ওরফে রঞ্জন নির্দল থেকে জিতলেও পরে কংগ্রেসে যান। সুরেশের বিরুদ্ধে অনাস্থাও এনেছিলেন। পরে অবশ্য শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনিও তৃণমূলে যোগ দেন। শীলা-ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সুরেশপন্থীদের বিবাদ এখন সর্বজনবিদিত। তাই এ দিনের এই ঘটনার পিছনে অন্য তাৎপর্য রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

পুরভবন সূত্রের খবর, ২০২০ সালে আবাসের জন্য আবেদন করেন জবা। পরের বছর প্রথম কিস্তির ৪০ হাজার টাকা তিনি পান। ২০২২ সালে ফের তিনি এক লক্ষ টাকা পান। সম্প্রতি তিনি ফের এক লক্ষ টাকা পেয়েছেন। ওই টাকাই সোমনাথ আটকে রেখেছিলেন বলে ২০২৩ সালের জুনে অভিযোগ তোলেন জবা। এ দিনও তিনি দাবি করেন, ‘‘প্রথমে দাবি মতো ২০ হাজার টাকা পুরপ্রতিনিধি সোমনাথ কর্মকারের হাতে দিয়েছিলাম। তাঁর দাবি মতো, আরও ২০ হাজার টাকা মেটাতে না পারায় তিনি কিস্তির টাকা আটকে রেখেছিলেন।’’

যদিও সোমনাথের দাবি, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। সে জন্য ওই মহিলার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছি। ভবিষ্যতে কেউ এই রকম মিথ্যা অভিযোগ করলে একই পথে হাঁটব।’’

এ দিন পুরপ্রধান সুরেশের সঙ্গে উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার এবং ওই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কয়েকবারের প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারও ছিলেন। পুরপ্রধান হিসাবে সুরেশ কয়েকদিন আগে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আবাস প্রকল্পে কিস্তির টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jhalda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy