নানুর বাসাপাড়ায় তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র kalyan.aligram@gmail.com
‘চ্যালেঞ্জ’ ছিল রেকর্ড জমায়েতের। তা সফল হয়েছে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু বৃহস্পতিবার নানুরের শহিদ সমাবেশে কার্যত ‘ব্রাত্য’ হয়ে রইলেন জেলবন্দি জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
এ দিন সমাবেশের তোরণে ছবি ছিল না অনুব্রতর। বক্তাদের মুখেও এক বারের জন্যও উচ্চারিত হতে শোনা যায়নি অনুব্রতর নাম। প্রত্যাশিত ভাবে দেখা যায়নি অনুব্রত-অনুগামী হিসাবে পরিচিত, জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকেও। কাজল অবশ্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘মুখে না বললেও অনুব্রত মণ্ডলের নাম আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। তাঁর দলই জেলা জুড়ে কাজ করছে।’’
২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরে সূচপুরে সিপিএমের হাতে খুন হন তৃণমূল সমর্থক ১১ জন খেতমজুর। তাদের স্মরণে নানুরের বাসাপাড়ায় শহিদ বেদি তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত ছিলেন ওই সমাবেশের অন্যতম হোতা। সমাবেশের আয়োজনের দায়িত্বে থাকতেন এলাকার বাসিন্দা কেরিম খান। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত তিহাড় জেলে। এ বারের নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে 'দলছুট' হয়ে পড়েছেন কেরিম। তার জায়গায় দল টিকিট দেয় কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখকে। কাজল রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জেতেন। তাই কাজলের নেতৃত্বে জমায়েত কেমন হবে তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে প্রবল কৌতূহল ছিল।
এ দিন অবশ্য সমাবেশে প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। তবে কেরিমকে দেখা যায়নি। কেরিম খানের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী, দলের কোর কমিটির মুখপাত্র বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিধানচন্দ্র মাঝি, দলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত নেতাদের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান ঘুরে ফিরে এলেও একবারের জন্যও অনুব্রতর নাম শোনা যায়নি।কেরিমের অনুপস্থিতির প্রশ্নে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কে কী কারণে আসেননি বলতে পারব না। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy