Advertisement
E-Paper

বন্ধ মান্ডি, বাজার সেই পথে

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হন বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রতুল মাহাতো। বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া ওঠে আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সমীর দত্ত। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।•বরাবাজারে সারা বছর ধরেই কমবেশি পানীয় জলের সঙ্কট থাকে। গ্রীষ্মে ভোগান্তি আরও বাড়ে। সমস্যা মেটানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হচ্ছে কি?

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৪০
চালু ছিল সামান্য কিছু দিন। এখন দিনভর বরাবাজারের কিসান মান্ডি থাকে তালা বন্ধ।—প্রদীপ মাহাতো।

চালু ছিল সামান্য কিছু দিন। এখন দিনভর বরাবাজারের কিসান মান্ডি থাকে তালা বন্ধ।—প্রদীপ মাহাতো।

•বরাবাজারে সারা বছর ধরেই কমবেশি পানীয় জলের সঙ্কট থাকে। গ্রীষ্মে ভোগান্তি আরও বাড়ে। সমস্যা মেটানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হচ্ছে কি?

প্রভাত মাহাতো, হিজলা

সহ-সভাপতি: বাম আমলে কোনও উদ্যোগই হয়নি। এটা বাস্তব, বরাবাজারে সদর বাজার ছাড়া জল সরবরাহ প্রকল্পের সুফল অন্য কোথাও মেলে না। এমনকী বাজারের মধ্যেও নামোপাড়া এলাকায় পর্যাপ্ত জল মেলে না। জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা মিটতে চলেছে বলে আমরা জেনেছিলাম। কিন্তু ওই প্রকল্প কবে বাস্তবায়িত হবে তার ঠিক নেই। তাই অঞ্চলভিত্তিক পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব জেলায় পাঠানো হয়েছে।

• বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিনের চালার নীচে রোগীরা থাকেন। চিকিৎসক মেলে না, কথায় কথায় রেফার করা হয়। সমস্যা মিটবে কি?

নন্দদুলাল গোস্বামী, তুমড়াশোল

সহ-সভাপতি:ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পটমদা ও বড়াম থানা এলাকার রোগীরা আসেন। সম্প্রতি এলাকার সাংসদ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে এলে তাঁকে পরিকাঠামোগত মান উন্নয়নের আবেদন জানিয়েছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আর একটি নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। সেখানে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হবে।

• সন্ধ্যা হলেই বরাবাজারের বাজার এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এই সুযোগে অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। পথবাতি লাগানো হবে কি?

শম্পা বড়াল, নামোপাড়া

সহ-সভাপতি: বাজারের সর্বত্র পথবাতি দেওয়া সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত সমিতির হাতে সেই পরিমাণ টাকা নেই। প্রথম দফায় রাজাপাড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর, ব্লক অফিস, জলট্যাঙ্ক মোড়-সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হাইমাস্ট বাতি লাগানোর পরিকল্পনা হয়েছে। পরে অন্যত্রও বসানো হবে।

• বর্ষা এলেই বরাবাজারের চৌমাথা-সহ কিছু এলাকায় নর্দমার জল উপচে যায়। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

অজিত দত্ত, নামোপাড়া

সহ-সভাপতি:প্রায় চার দশক আগে নিকাশি নালা নির্মাণ হয়েছিল। তারপর ২০১৩ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পরে পঞ্চায়েত থেকে প্রথম বার সেটি সংস্কার করা হয়। তবে এলাকার অনেকেই যেখানে খুশি আবর্জনা ফেলছেন। নালার মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সচেতন হওয়া দরকার।

•এলাকায় প্রচুর সব্জি চাষ হলেও দাম মেলে না। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কিসান মান্ডি গড়া হলেও সেটি চালু হচ্ছে না কেন?

সহদেব মাহাতো, লটপদা

সহ-সভাপতি:বাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে কিসান মান্ডি। আমরা চালু করার চেষ্টা করেছিলাম। দু’-এক দিন সব্জি ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা গিয়েছিলেন। তার পরে যে-কে-সেই। ফের রাস্তার ধারে বসে বিকিকিনি হচ্ছে। আসলে অনেকেই অভ্যাস বদলাতে রাজি নন। ফের মান্ডিতে বাজার চালুর চেষ্টা করব।

•বরাবাজারের প্রায় সমস্ত রাস্তা খানা খন্দে ভরা। এলাকার দশটি অঞ্চল থেকে সদরে আসার রাস্তাও ভাল নয়। মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি?

মানিক মূর্মু, সরবেড়িয়া

সহ-সভাপতি:পঞ্চায়েত সমিতির আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছি।

•এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা ভাল হলে আর কিছু পরিকাঠামো গড়ে তুললে পর্যটক টানা যেতে পারে। পঞ্চায়েত সমিতির কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি?

কাঞ্চন রায়, ঘোষপাড়া

সহ-সভাপতি: সিন্দরি অঞ্চলের ঝর্নাকোচায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে ।

•এলাকায় বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য কারিগরি কলেজ গড়লে ছেলেমেয়েরা হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ পেতেন। সমিতি কি কিছু ভাবছে?

রাজেশ দত্ত, নামোপাড়া

সহ-সভাপতি:আইটিআই কলেজের জন্য সম্প্রতি কিছু জমি মিলেছে। কলেজ গড়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

•বড় মুকরু হয়ে বোদলডি থেকে বরাবাজার আসতে হলে রাস্তার দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার। মাঝখানে সেতু বেহাল হয়ে পড়ায় বর্ষাকালে বামুনডিহা হয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উজিয়ে যেতে হয়। সেতু মেরামত করা হবে কবে?

পলাশ মাহাতো, বোদলডি

সহ-সভাপতি:শুধু ওই রাস্তা নয়, বরাবাজারের বনকাটি চন্দনপুরের কজওয়েটিও বেহাল। এলাকার সমস্ত বেহাল কজওয়েগুলি মেরামতির আর্জি জানিয়ে জেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

Kissan Mandi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy