নয় মাস আগে চালু হলেও এখনও মিটল না রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পানীয় জলের সমস্যা!
হাসপাতালে বর্হিবিভাগে আসা দৈনিক গড়ে ৮০০ রোগী থেকে রোগীর আত্মীয় পরিজন পানীয় জলের জন্য চরম অসুবিধায় ভুগছেন। ভুগছেন হাসপাতাল কর্মী থেকে ডাক্তার নার্সরাও। অথচ নয় মাস আগে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু করা হয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
১৫ মাসের মধ্যে ভবনটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরিত করে দেওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে ওই ভবনটিকে মেডিক্যাল কলেজের আওতা ভুক্ত করার জন্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মূল ভবনের কিছু পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে নির্মাণ কাজ শুরুর বছর দেড়েকের মধ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চালু করার কথা থাকলেও নির্মাণকারী এজেন্সি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে দেরি হয়। ঘটনা হল, চালু হওয়ার পরেও রোগীদের জন্য পানীয় জলের যথার্থ ব্যবস্থা হয়নি!
বৃহস্পতিবার সকালে মাড়গ্রাম থেকে টুম্পা বিবি তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে সাহিদুল সেখকে অস্থি বিশেষজ্ঞকে দেখানোর জন্য এসেছিলেন। সকাল এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল পানীয় জল অভাবে ঠাকুমা ফতেমা বিবি যাচ্ছেন হাসপাতালে মূল ভবনে। জানালেন নতুন হাসপাতালের ভিতর-বাইরে খাবার জলের জন্য খোঁজ করেও পানীয় জল পাননি। একই হাল কুরুমগ্রামের সন্দরী মণ্ডল, চঞ্চল মণ্ডলদের।
রামপুরহাট হাসপাতালের সুপার সুবোধ কুমার মণ্ডল জানান, হাসপাতালের ক্যাম্পাসে পানীয় জলের জন্য একটি লাইন করে দেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের সিভিল বিভাগকে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বলা হয়েছে। যতদূর জানি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা নির্মাণ কারী সংস্থার।
নির্মাণকারী সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, ‘‘কে বলেছে রোগীরা জল পায় না। পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’’
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ঘুরে এ দিন দেখা গেল, ভবন নির্মাণকারী সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার যে দুটি জায়গায় পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে রোগীরা কেউ জানেন না কোথায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর থেকে যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা গেল সেই ট্যাপের পয়েন্ট থেকে কোনও পানীয় জল বের হচ্ছে না। ট্যাপ কলের মুখ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy