আট বাম প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ জন বিনা বাধায় মনোনয়ন জমা দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বামফ্রন্টের ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমার কাগজপত্রে গণ্ডগোল থাকার জন্য ওই তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেননি। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ১, ৩, ৪, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করেন। বাকি তিনটি ওয়ার্ড অর্থাৎ ৮, ৯ এবং ১৬ এই তিনটি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা আজ বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।’’
মনোনয়নপত্র জমা দিতে তৃণমূল বিরোধীদের বাধা দিতে পারে এই আশঙ্কায় মহকুমাশাসক তথা নলহাটি পুরভোটের রিটার্নিং অফিসার সুপ্রিয় দাস এবং রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ ধৃতিমান সরকারের কাছে সোমবারই সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ লিখিত আবেদন করেছিলেন।
তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এখানেই তো প্রমাণ হল তৃণমূল কোনও বাধা প্রদান করেনি।’’ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে নলহাটি পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ, নলহাটি শহর তৃণমূলের সভাপতি রাকেশ সিংহ, রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়দের উপস্থিতি সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিদিব ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘‘শুধু নলহাটি পুরসভা নির্বাচন নয় অন্যান্য নির্বাচনে আমাদের দলের স্পষ্ট বার্তা গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দেওয়া। সুতরাং আজকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে বিবৃতি বিরোধীরা দিয়েছেন তাকে আমরা ধিক্কার জানাই।’’
রামপুরহাটের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘আমরা চাই প্রশাসন সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করুক।’’ তিনি জানান, কৌশলগত কারণে তাঁরা তাঁদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছেন না। মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিনে অর্থাৎ ২৪ জুলাই বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেবে।
সোমবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে এসডিওর সামনে ১৭ – ২০ জুলাই পর্যন্ত পথ সভা চালু থাকবে বললেও মঙ্গলবার সেই কর্মসূচি দেখা যায়নি। দলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে এসডিও অফিসের সামনে আর কোনও পথসভা করা হবে না।’’ আজ, বুধবার তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল
করবেন। কংগ্রেস ও বামফ্রন্টও মনোনয়ন দাখিল করবে। সেক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসন থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy