সরবত দিয়ে বছরের শুরু। পুরুলিয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন দুই জেলার বাসিন্দারা। তার মধ্যে ছিল বেশ কিছু অভিনব উদ্যোগও। বিষ্ণুপুরের লালবাঁধে ১৪২৩টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সদানন্দ দত্ত। সাঁতারু ওই যুবকের বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের বাহাদুরগঞ্জ এলাকায়। তিনি বলেন, ‘‘দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উদ্যোগ।’’ এ দিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ডুব দেওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। শেষ করেন ১১টা ২১ মিনিটে। জল থেকে উঠতেই মালা পরিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করেন এলাকার বাসিন্দারা। উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন পুরপ্রধান তুষারকান্তি ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
অন্যদিকে, পথচলতি মানুষজনের হাতে ঠাণ্ডা সরবতের গ্লাস তুলে দিয়ে নববর্ষ পালন করল পুরুলিয়ার পাখাছাড়া দলের সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের দেশবন্ধু রোডে পথচারি, এমনকী গাড়ি থামিয়ে যাত্রী, চালক এবং খালাসিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সরবতের গ্লাস। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বীরেন্দ্রনাথ খাঁ জানান, দাবদাহের মধ্যে যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরনো মানুষজনকে একটু স্বস্তি দিতেই এই আয়োজন।
এ দিন বান্দোয়ানের ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মাতে এলাকার কচিকাঁচারা। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহম্মদ আকিল জানান, উপস্থিত সবার জন্য ছিল মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা। বর্ষবরণ উৎসব পালন করল বাঁকুরা সংহতি ও বিষ্ণুপুরের শিশু বইমেলা কমিটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের যদুভট্ট মঞ্চে এই উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পাশাপাশি, বুধবার সন্ধ্যায় পুঞ্চার রাধাচরণ আকাদেমির জিমন্যাসিয়াম হলে ‘সঙ্গ ও কৃষ্টি’ সংস্থার উদ্যোগে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয় একটি স্মারক পত্রিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy