Advertisement
E-Paper

বাড়ি বয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা প্রার্থীদের

সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের বড়হাটে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের এ বারের প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৭
পুরুলিয়া বড়হাটে মৃগাঙ্ক মাহাতো।  নিজস্ব চিত্র

পুরুলিয়া বড়হাটে মৃগাঙ্ক মাহাতো। নিজস্ব চিত্র

বছর হল সারা। কিন্তু পুরুলিয়া আর বাঁকুড়ায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচার তো সবে শুরু হয়েছে। দুই জেলায় ভোট হতে প্রায় মাসখানেক বাকি। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রার্থীরা নতুন উদ্যমে নেমে পড়লেন জনসংযোগে। কেউ সাতসকালে বাজারে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বললেন। কেউ পুরনো কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে এলেন।

সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের বড়হাটে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের এ বারের প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো। সঙ্গে ছিলেন শহর কমিটির সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডল ও অন্য নেতাকর্মীরা। বড়হাটে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভোটপ্রার্থী। তবে তাঁকে সামনে পেয়ে নানা ঝুটঝামেলার কথা শোনাতে ছাড়েননি বিক্রেতারা। আনাজ বিক্রেতা পার্বতী গড়াই, মাছ বিক্রেতা লিল্টু ধীবরেরা যেমন বলেছেন, ছাউনি না থাকায় তাঁদের কী রকমের হয়রানি হয়। বসে থাকতে হয় চাঁদি ফাটা রোদ মাথায় করে। মুরগির মাংস বিক্রি করেন শেখ আখতার। তিনি বলেছেন বাজারের পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত অভাব অভিযোগের কথা। তবে নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকায় মৃগাঙ্কবাবু কোনও প্রতিশ্রুতির ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখে প্রচারের বদলে বাজারে ঘুরে লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়েই গুরুত্ব দিলাম।’’

বিজেপির প্রার্থী জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো সকালে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া শহরের একটি রক্তদান শিবিরে। সেখান থেকে ফিরে পার্টি অফিসে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মিষ্টিমুখ করতে দেখা যায় তাঁকে। বামফ্রন্টের প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের বীর সিং মাহাতো জানান, বাংলা বছরের প্রথম দিনে গতানুগতিক প্রচার না করে বাঘমুণ্ডির কয়েকটি পঞ্চায়েতে গিয়ে পরিচিত লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করে ফিরেছেন পুরুলিয়া শহরের পার্টি অফিসে। কংগ্রেসের প্রার্থী নেপাল মাহাতো অবশ্য মাঠে নেমে সোজাসাপটা প্রচারে খামতি দিতে নারাজ। তিনি এ দিন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পুরুলিয়া ১ ব্লকের লাগদা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে পায়ে হেঁটে ঘুরে প্রচার করেছেন। মাঝে কয়েকটি জায়গায় কর্মিসভাও করেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বছরের প্রথম দিনে বাঁকুড়া শহরে জনসংযোগে নেমেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সোমবার সকালে ভৈরবস্থান ও মহামায়া মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তার পরে বাঁকুড়া স্টেশন ও গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ডে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সুব্রতবাবুর সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। সুব্রতদা বছরের প্রথম দিনে মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলেন।” গঙ্গাজলঘাটি ও মেজিয়ায় রোড শো করেছেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। এ দিন গঙ্গাজলঘাটির কুস্থোল থেকে রোড শো শুরু হয়ে দুর্লভপুর হয়ে মেজিয়ায় গিয়ে শেষ হয়। সুভাষবাবু বলেন, “প্রচারের মাধ্যমেই মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।”

বিধায়ককে প্রণাম সৌমিত্র খাঁর স্ত্রীর। নিজস্ব চিত্র

বছরের শেষটা বিষ্ণুপুরে হয়েছে বিতর্ক আর সৌজন্যের মিশেলে। আদালতের নির্দেশে জেলায় প্রচারে আসতে পারছেন না বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। আসছেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। রবিবার বিকেলে বিষ্ণুপুরের ডিহর গ্রামে ষাঁড়েশ্বরের গাজন মেলায় গিয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। প্রচারের ফাঁকে সুজাতাও যান ডিহর গ্রামে। দেখা হতেই প্রবীণ বিধায়ককে প্রণাম করে আশীর্বাদ চান। বলেন, ‘‘প্রবীণ মানুষ উনি। আমরা আলাদা দল করতে পারি। সৌজন্য প্রকাশে তো বাধা নেই।’’ এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতিতে। তুষারবাবু বলেন, ‘‘ও আমার মেয়ের মতো। প্রণাম করলে আশীর্বাদ না করে থাকতে পারি?’’

Lok Sabha Election 2019 Election Campaign Bengali New Year
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy