Advertisement
০২ মে ২০২৪

ঢাক কাঠি রামপ্রসাদের, টোটো চালালেন শতাব্দী

এ দিন ঢাক বাজিয়েই প্রচারে নামলেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস। সকালে বোলপুর রেল ময়দানে দুর্গামন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি। তার পরে কাঁধে ঢাক তুলে বাজাতে বাজাতে ঘোরেন কয়েকটি বাড়িতে।

পথে:বোলপুরে ঢাকে কাঠি দিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন বিজেপির রামপ্রসাদ দাস। প্রচারে রামপুরহাটে টোটো চালালেন তৃণমূলের শতাব্দী রায়। বুধবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী, সব্যসাচী ইসলাম।

পথে:বোলপুরে ঢাকে কাঠি দিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন বিজেপির রামপ্রসাদ দাস। প্রচারে রামপুরহাটে টোটো চালালেন তৃণমূলের শতাব্দী রায়। বুধবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী, সব্যসাচী ইসলাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ২২:০৭
Share: Save:

কেউ বাজালেন ঢাক। কেউ চালালেন টোটো। কেউ আবার রাজপথে প্রতিপক্ষকে জড়িয়ে জানালেন শুভেচ্ছা।

লোকসভা ভোটের প্রচারে বুধবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এমনই মেজাজে দেখা মিলল যুযুধান প্রার্থীদের।

এ দিন ঢাক বাজিয়েই প্রচারে নামলেন বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস। সকালে বোলপুর রেল ময়দানে দুর্গামন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি। তার পরে কাঁধে ঢাক তুলে বাজাতে বাজাতে ঘোরেন কয়েকটি বাড়িতে। তাঁর সমর্থনে ভোট চান। বোলপুর চৌরাস্তা মোড়ের কাছে পথচারীদের লাড্ডু বিতরণ করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা।

নকুলদানার পাল্টা কি লাড্ডু? তা মানতে চাননি রামপ্রসাদবাবু। তবে নাম না করেও অনুব্রতের নকুলদানা-নিদানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘‘এ সব ভাল চোখে দেখেন না সাধারণ মানুষ।’’ কটাক্ষ করেন সিপিএমকেও। রামপ্রসাদবাবুর কথায়, ‘‘এখন এ রাজ্যে সিপিএমের কোনও অস্তিত্বই নেই। নেই জনসমর্থন। বাম আমলে মানুষ ৩৪ বছর ধরে বঞ্চিত হয়েছেন। পরিবর্তন চেয়ে তাঁরা তৃণমূলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘কিন্তু এখন রাজ্যের মানুষ দেখছেন তাঁরা আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তা-ই এ বার সকলে বিজেপিকেই ভোট দেবেন।’’ তাঁর দাবি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে জেলার দু’টি আসনেই জিতবে বিজেপি।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য দিকে, প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে ফের টোটো চালালেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রামপুরহাট ১ ব্লকের দখলবাটি পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুর ফুটবল মাঠে কর্মিসভা করেন তিনি। শতাব্দী বলেন, ‘‘আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে পেরেছি।’’ মঞ্চ থেকে নেমে সভাস্থলের মাঠে থাকা একটি টোটো চালাতে শুরু করেন তিনি। সভাস্থলের মাঠ থেকে টোটো চালিয়ে দুনিগ্রাম-রামপুরহাট সড়কে পৌঁছন। সেখানে টোটো থামিয়ে পথচারী, দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কিছু কথা বলেন। এর পরে শতাব্দী যান রামপুরহাট ১ ব্লকের বনহাট পঞ্চায়েতের ভাটিনা গ্রামে। সেখানে তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাটিনা গ্রামে সভা শেষে আদিবাসী মহিলাদের হাত ধরে ধামসা-মাদলের তালে পা মেলান শতাব্দী। পরে ওই একই ব্লকের আয়াষে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন।

দলীয় সূত্রে খবর, এর আগে ২০১৫ সালে রামপুরহাট পুরসভা নির্বাচনে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে শতাব্দী টোটো চালিয়ে প্রচার করেছিলেন।

এ দিন সকালে রামপুরহাট ১ ব্লকে প্রচার চালান দুধকুমার মণ্ডলও। খরুণ অঞ্চল থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। ঘোরেন কবিচন্দ্রপুর, জুনিদপুর, নওয়াপাড়া গ্রামে। সব জায়গাতেই ছোট ছোট সভা করেন। খরুন অঞ্চলে প্রচার শেষ করে রামপুরহাট ১ ব্লকের কাষ্ঠগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলডা, সোঁয়াশা গ্রামে যান তিনি। সন্ধ্যায় ফিরে যান সিউড়িতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE