—প্রতীকী ছবি।
জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রীর গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পর অভিযুক্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও খবর। বীরভূমের দুবরাজপুরের বোধ গ্রামে রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত মহিলার নাম পদ্মা বাউড়ি। অভিযুক্ত স্বামী রাজকুমার বাউড়ি। যদিও স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করছেন রাজকুমার। তাঁকে বর্তমানে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত চার মাস আগে পদ্মার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইলামবাজারের সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমারের। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির কারণে পদ্মা বাপের বাড়িতে থাকতেন। বুধবার জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন রাজকুমার। রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে যান দু’জনে। সকালবেলা পদ্মার গলা কাটা ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে তার পরিবার। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় রাজকুমারকেও। অভিযোগ, পদ্মাকে খুন করে রাজকুমার নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাজকুমারকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পদ্মার দেহও ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
তবে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজকুমার। তাঁর দাবি, তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। কে বা কারা তখন তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রাজকুমারের কথায়, ‘‘আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। কে এসে এমনটা করল জানি না। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে যাব বলে এসেছিলাম। বাড়ি যাওয়া নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে মারামারি হয়নি। জানি না কে মেরেছে।’’
রাজকুমারের দিদি ভাদু বাউড়ি বলেন, ‘‘আমাদের খবর দেওয়ার পর আমরা হাসপাতালে এসেছি। সবাই বলছে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এমনটা হয়েছে। তবে এর সত্যাসত্য জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy