জখম: সেই যুবক। নিজস্ব চিত্র
ঋণ দেওয়ার নামে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে এক বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্কের মধ্যেই গায়ে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক!
শনিবার দুপুরে সিউড়ির পোস্ট অফিস মোড় লাগোয়া একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখার ওই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় কোনও অঘটন ঘটেনি। তবে, আটকানোর পরে তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন বলে ওই যুবকের অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে রক্তাক্ত ওই যুবককে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের মাথায় ও মুখে চোট রয়েছে।
শেখ আব্দুল আলিম নামে ওই যুবক সিউড়ির কুখুডিহি গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামে তাঁর একটি টিভি, মোবাইল সারাইয়ের দোকান আছে। আলিম জানান, সেই ব্যবসাকে আরও উন্নত করার জন্য ঋণ নিতে চেয়ে এক বছর আগে ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘ব্যাঙ্ক থেকে প্রথমে আমাকে বলা হয়, একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা লেনদেন করতে হবে। সেই কথা মতো কাজ করার পরে ঋণ চাইতে গেলে, ‘আজ নয়, কাল’— এ ভাবে গত এক বছর ধরে ওই ব্যাঙ্ক আমাকে ঘোরাচ্ছে।’’
শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ একই কারণে তিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আলিমের বক্তব্য, ‘‘এ দিন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানান, ঋণ নিতে হলে বাড়ি-জমি মর্টগেজ রাখতে হবে। তা শুনেই আমি চরম হতাশ হয়ে পড়ি। নিজেকে শেষ করে দিতে চাই।’’ হতাশ ওই যুবকের প্রশ্ন, ‘‘যদি এটাই বলার ছিল, তা হলে ব্যাঙ্ক আমাকে কেন এত দিন ধরে ঘোরাচ্ছিল?’’ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এর পরে হঠাৎ-ই ওই যুবক গায়ে দ্রাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। তাতেই বাধা দেন ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও ওই যুবক অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমাকে থামানোর পরে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে বের করে দেয়।’’
ওই যুবক কেন ঋণ পাচ্ছেন না?
এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুপ্রিয় সান্যালের দাবি, ‘‘ওই যুবককে আমি চিনিই না। আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।’’ তিনি আরও জানান, ব্যাঙ্কের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটার পরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখলে সব স্পষ্ট হবে। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্ক থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy