তিলু সরকার। নিজস্ব চিত্র।
হাতির হানায় মৃত্যু হল এক চাষির। শুক্রবার ভোরে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার পখন্নার বড়মানা গ্রামের ঘটনা। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম তিলু সরকার (৫৮)। একটি ‘রেসিডেন্সিয়াল’ হাতি এ দিন দামোদর পেরিয়ে বড়জোড়ার জঙ্গল থেকে পখন্নার বড়মানা গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। ঘটনার পরে, হাতিটি পশ্চিম বর্ধমানের গোপালপুরের দিকে চলে যায়।
ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) কল্যাণ রাই বলেন, "হাতিটি সম্ভবত খাবারের খোঁজে নদী পেরিয়ে গ্রামে ঢুকেছিল। মৃতের পরিবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।"
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিলু ছিলেন এক প্রান্তিক চাষি। দাবদাহে গ্রামের বেশির ভাগ চাষি ইদানীং ভোরের দিকে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। তিলুও এ দিন ভোর ৩টে নাগাদ তাঁর বাদাম খেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। সেখানে হাতিটি তাঁকে আক্রমণ করে। মৃতের এক প্রতিবেশী বলেন, "তিলুর খেতের ধারে বেশ ঝোপজঙ্গল রয়েছে। সম্ভবত সেখানে হাতিটি তাঁকে আক্রমণ করে। বাদাম খেতের ছাপ থেকে বোঝা যায়, বারবার তাঁকে আছাড় মারা হয়েছে। শেষে মাথা থেঁতলে দেয় হাতিটি।”
ঘটনার পরে, কুকুরের আওয়াজে ঘুম ভাঙে খেতের ধারের এক বাসিন্দার। তিনি আরও কিছু লোকজন নিয়ে খেতে গিয়ে তিলুর দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে ও বন দফতরে। পরে, বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিলুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনায় চিন্তিত গ্রামবাসীর একাংশ জানান, চাষের কাজে ভোর-রাতে খেতে যেতে হয়। জঙ্গল থেকে এত দূরে নদী পেরিয়ে এ ভাবে গ্রামে হাতি চলে এলে তা যথেষ্ট আতঙ্কের।
হাসপাতালে গিয়ে এ দিন মৃতের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেন বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "খুব দুঃখজনক ঘটনা। আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি। তাঁরা যাতে সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ পান, সে দিকে নজর দেওয়া হবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy