ঝালদা ও মানবাজারে মহকুমা হবে বলে আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বুধবার জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিষয়ে বিশেষ কোনও আলো দেখাতে না পারায় কিছুটা হলেও মন খারাপ বাসিন্দাদের। মমতাকে সে দিন সাংবাদিকরা এ নিয়ে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যাপারটা মুখ্য সচিব দেখছেন। প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে।’’ শাসকদলের একটি অংশের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেষ্ট। তিনি লেগে রয়েছেন। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।
বস্তুত পুরুলিয়া জেলার এই দুই জনপদে দীর্ঘদিন ধরেই মহকুমা ঘোষণার দাবি উঠছিল। ঝালদায় একটি পুরসভা থাকলেও জঙ্গলমহল ঘেঁষা মানবাজার আড়েবহরে বাড়লেও সে স্বীকৃতি পায়নি। ২০০৯ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ঝালদার একটি জল প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, ঝালদা ও মানবাজারে মহকুমা করা হবে। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারে আমলে সে কাজ বাস্তবায়িত আর হয়নি। এর পরে সরকার বদলের পর মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জেলায় এসে বিভিন্ন সময় মানবাজার ও ঝালদায় মহকুমা চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাই এ বার তাঁর জেলা সফর ঘিরে মানুষের মধ্যে ওই ঘোষণা নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল।
জেলার এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, মহকুমা হলে ওই দুই জনপদের প্রভূত উন্নতি হবে। অফিস-কাছারি থেকে হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের সওয়ারি হবে দুই এলাকা। তাই বাসিন্দাদের প্রত্যাশা স্বাভাবিক। মানবাজারের বিধায়ক তথা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। এ কারণে বুধবার নতুন করে আর জানতে চাওয়া হয়নি।’’
তবে ঝালদার বাসিন্দা তথা বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘মহকুমা ঘোষণার বিষয়টি রাজ্য সরকার ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিতে চাইছে। কারণ অনেকদিন আগেই তো ঘোষণা হয়েছে। এতদিন কার্যকর করতে সময় লাগছে কেন পরিষ্কার নয়।’’ তিনি জানান, বিধানসভায় বারবার মহকুমা তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু অন্য প্রশ্নগুলির জবাব পেলেও এ ব্যাপারে কোনও উত্তর পাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy