E-Paper

লড়াকু মাকে সম্মান জানাল মেয়ের স্কুল

প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক তাপস দাস বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে দেবস্মিতাকে আমাদের স্কুলে ভর্তি করাতে এসেছিলেন সুস্মিতা। আমরা জানতাম দেবস্মিতা জটিল অসুখে আক্রান্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ০৯:১৮
সংবর্ধিত করা হচ্ছে সুস্মিতা দত্তকে (ডান িদকে)। নিজস্ব চিত্র

সংবর্ধিত করা হচ্ছে সুস্মিতা দত্তকে (ডান িদকে)। নিজস্ব চিত্র

জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়েছিল মানবাজারের আট বছরের দেবস্মিতা দত্ত। চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম ‘রেড সেল অ্যাপলাসিয়া’। এখন তাকে জীবনের মূল স্রোতে আনার লড়াই লড়ছেন তার মা সুস্মিতা। রবিবার আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসের দিন তাঁকে সংবর্ধনা দিল দেবস্মিতার নাচের স্কুল।

প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক তাপস দাস বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে দেবস্মিতাকে আমাদের স্কুলে ভর্তি করাতে এসেছিলেন সুস্মিতা। আমরা জানতাম দেবস্মিতা জটিল অসুখে আক্রান্ত। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ও কি নাচের ধকল সহ্য করতে পারবে। সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, কয়েক বছর মেয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। ওকে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এগুলি দরকার। সুস্মিতার লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ জানাতে তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছি।’’

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী দেবস্মিতা বলছে, ‘‘নাচের স্কুলে এসে অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে। নাচের সময় মনেই হয় না, এক সময় আমি জটিল অসুখে আক্রান্ত ছিলাম।’’

সুস্মিতা বলেন, ‘‘জন্মের কয়েক মাস পরেই মেয়ে পিওর রেড সেল অ্যাপলাসিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এই রোগ হলে শরীরে রক্ত তৈরির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।’’ দেবস্মিতার বাবা নির্মল তখন ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়ায় কাজ করতেন। ওই এলাকার সমাজকর্মী পিনাকী রায় বলেন, ‘‘দেবস্মিতাকে বাঁচানোর লড়াই আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। ঝরিয়া, ধানবাদ, বোকারো, জামশেদপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে সকলে পথে নেমেছিলাম। জার্মানির এক চিকিৎসক দম্পতি সহায়তা করেছিলেন। ‘স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন’ হয়েছিল। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়েটিকে বাঁচানো গিয়েছে।’’

দেবস্মিতার নাচের স্কুলের ছাত্রীদের অভিভাবিকা জ্যোৎস্না রায়, কল্যাণী মাহাতো, চৈতালি মহান্তী, শান্তময়ী বন্দ্যোপাধ্যায়-রা বলেন, ‘‘সব দিক সামলে মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সুস্মিতা। ওর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

manbazar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy