জেলা ক্রীড়া সংস্থা তথা মানভূম ক্রীড়া সংস্থায় নতুন ভাবে কমিটি গঠনের দাবি তুলল তৃণমূল। এই দাবিতে রবিবার দলের কয়েক জন কর্মী মানভূম ক্রীড়া সংস্থার অফিসে তালাও ঝুলিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া শহর কমিটির প্রাক্তন সভাপতি (নতুন কমিটি এখনও গঠন হয়নি) বৈদ্যনাথ মণ্ডল, সক্রিয় কর্মী শম্ভু সরকার। ঘণ্টাখানেক পরে অবশ্য তালা খুলে দেওয়া হয়।
শম্ভুবাবুর অভিযোগ, ‘‘মানভূম ক্রীড়া সংস্থায় কয়েকটি বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বলে আমরা মনে করছি। ভলিবল খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফুটবলের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে অথচ এখনও ফুটবল খেলাই শুরু হয়নি। সংস্থার মাঠের একাংশে বহিরাগতদের আড্ডা, অসামাজিক কাযর্কলাপের অভিযোগও মিলছে। এই সব কারণেই আমরা নতুন ভাবে কমিটি গঠনের দাবি তুলেছি।’’ বৈদ্যনাথবাবু বলেন, ‘‘এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন কমিটি হওয়া দরকার।’’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি শান্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে এটা ঠিক। তবে এই তথ্য ঠিক নয় যে, বর্তমান কমিটি তার পরেও বহাল রয়ে গিয়েছে নিজেদের সিদ্ধান্তে। তারা বহাল রয়েছে আদালতের নির্দেশে। তিনি বলেন, ‘‘২০১০ সালে এই কমিটি নির্বাচিত হয়। পরবর্তী কমিটি গঠন হবার কথা ছিল ২০১২ সালে। কিন্তু তার আগেই সরকার একটি নির্দেশ জারি করে বলেছিল, এই কমিটিগুলিকে ভেঙে দেওয়া হবে। তখন রাজ্যের প্রায় সব জেলা ক্রীড়া সংস্থাই আদালতের দ্বারস্থ হয়। তার প্রেক্ষিতেই আদালত ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই স্থগিতাদেশ এখনও রয়েছে। তবে আমরা মনে করি, নতুন করে কমিটি গঠনের প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রস্তুতিও আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করেছি।’’
ফুটবল খেলা কেন চালু করা গেল না, সে প্রসঙ্গে শান্তবাবুর বক্তব্য, ফুটবলের বাজেট হয়ে গিয়েছে। বাজেট দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা। বর্তমানে আর্থিক সঙ্কট সংস্থার কাজকর্ম চালানোর পক্ষে প্রধান অন্তরায়। তাই রবিবার ফুটবল সাব কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে যোগ দিতে এসে তাঁরা দেখেন, অফিসে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন উপস্থিত। তাঁর কথায়, ‘‘এ ভাবে তালা ঝুলিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। কী ভাবে নতুন কমিটি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা দরকার।’’ ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তথা জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নতুন কমিটি গঠনের দাবি সামনে এসেছে। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। বিধি মেনে কী ভাবে বিষয়টির সমাধান করা যায়, আমরা দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy