Advertisement
E-Paper

দত্তক গ্রামের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি

ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বান্দোয়ানে মাওবাদীদের মোকাবিলার জন্য কয়েকবছর ধরেই মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মাওবাদীরা যাতে গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে জঙ্গলমহল এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫২
পাশে: তুলে দেওয়া হচ্ছে খেলার পুরস্কার। নিজস্ব চিত্র

পাশে: তুলে দেওয়া হচ্ছে খেলার পুরস্কার। নিজস্ব চিত্র

এক মাস আগে বান্দোয়ানে দু’টি গ্রাম দত্তক নিয়েছিল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। রবিবার সেই দু’টি গ্রামে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন দত্তক নেওয়া লোটঝরনা ও গোলকাটা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সেলাই এবং শালপাতা বানানোর মেশিন, সোলার লাইট-সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বান্দোয়ানে মাওবাদীদের মোকাবিলার জন্য কয়েকবছর ধরেই মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মাওবাদীরা যাতে গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে জঙ্গলমহল এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী।

গত ৫ ই জানুয়ারি বান্দোয়ান ব্লকের গোলকাটা ও লোটঝরনা দুটি গ্রামকে দত্তক নিয়েছিল সিআরপিএফের ১৬৯ ব্যাটেলিয়ান। ওই দিনেই গ্রামে পরিশ্রত পানীয় জল সরবরাহের জন্য সাব মার্সিবেল পাম্প বসানো হয়। গত একমাস ধরে ওই দুই গ্রামে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে সিআরপিএফ। এদিন কুমড়া গোলকাট ফুটবল মাঠে একটি ‘জনসংযোগ শিবিরের’ আয়োজন করে ১৬৯ ব্যাটেলিয়নের সিআরপিএফ বাহিনী। একটি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন সামগ্রী।

সিআরপিফ সূত্রে জানানো হয়েছে, গত একমাস ধরে দুই গ্রামে সেলাই মেশিন চালানোর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এদিন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন, ১৬৯ ব্যাটেলিয়নের কমাডেন্ট ভাই অশোককুমার চৌরাশিয়া, সেকেন্ড ইন কমান্ড অপুর্ব সিনহা, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট অরবিন্দকুমার পর্বত, কুচিয়া ক্যাম্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট মনোজকুমার পান্ডে সহ সিআরপিএফের অন্যান্য আধিকারিকেরা।

ভাই অশোককুমার চৌরাশিয়া বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে-মেয়েদের রোজগারের পথ খুলে দিতে আমরা কর্মসুচি নিয়েছি। গ্রামের মানুষ যাতে পুলিশকে ভয় না পায় এবং মাওবাদীরা যাতে মানুষকে ভয় দেখাতে বা বিভ্রান্ত করতে না পারে, তার জন্য জনসংযোগ কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যেমে গ্রামবাসীদের মনে জায়গা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’

সিআরপিএফের তরফে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সঙ্গীত চর্চার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে গ্রামবাসীদের প্রতি ওই সিআরপিএফ কর্তার পরামর্শ—‘‘গ্রামে কোন অঙ্গাত পরিচয়ের লোক দেখতে পেয়ে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানান।’’

Addopted Village CRPF Development
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy