Advertisement
E-Paper

Tarapith: ভিড় নেই, তারাপীঠে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সাদ্দাম নাভাস জানান, এ বারে প্রায় তিন লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ১০:৪৪
কৌশিকী অমাবস্যা শেষে ফিরছেন পুণ্যার্থীরা। শনিবার রামপুরহাট স্টেশনে। ছবি: সব্যসাচী ইসAলাম

কৌশিকী অমাবস্যা শেষে ফিরছেন পুণ্যার্থীরা। শনিবার রামপুরহাট স্টেশনে। ছবি: সব্যসাচী ইসAলাম

কৌশিকী অমাবস্যায় গত দু’বছর করোনার জন্য দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দির। এ বছর তাই পাঁচ লক্ষাধিক পুণ্যার্থী আসবেন বলে অনুমান ছিল প্রশাসনের। কিন্তু প্রত্যাশা মতো দর্শনার্থীর সমাগম না হওয়ায় আর্থিক দিক থেকে তাঁদের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি একাধিক ব্যবসায়ীর।

রামপুরহাটের মহকুমাশাসক সাদ্দাম নাভাস জানান, এ বারে প্রায় তিন লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আরও বেশি দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে ভেবে প্রশাসন থেকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা-সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণে ভিড় এড়াতে অনেক দর্শনার্থীই আসেননি।’’

অনেকের মতে, তারাপীঠ লজ মালিক সমিতির অধীন লজের একাংশের অত্যধিক ভাড়া বৃদ্ধির জন্য তারাপীঠে অনেক দর্শনার্থী আসেননি। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তারাপীঠে সব লজ মালিক লজের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে এই নিয়ে এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম প্রচার চালানোর ফলে প্রত্যাশা মতো দর্শনার্থী আসেননি বলে লজ মালিকদের ধারণা। এর ফলে অনেকে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৫ অগস্টের সময় দীর্ঘ সপ্তাহান্তের ছুটিতে তারাপীঠে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছিল। ওই সময় তারাপীঠের বেশ কিছু লজ ব্যবসায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর এবং সাধারণ ঘরের ভাড়া দ্বিগুণ করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। কৌশিকী অমাবস্যার সময়েও তিন দিনের প্যাকেজে ঘর ভাড়ার হারও বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেক লজ। সে জন্যও এ বারে দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রত্যাশা মতো হয়নি বলে দাবি। লজ মালিক সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, ‘‘ঘর ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে লজ মালিক সমিতির কাছে বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।’’

লজ মালিকদের অনেকের মতে, কৌশিকী অমাবস্যার দিন অর্থাৎ ২৬ অগস্ট শুক্রবার ভোর থেকে তারাপীঠে আসার ছোট গাড়ি ঢোকা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনেক দর্শনার্থী রামপুরহাট শহরে বিভিন্ন লজে থেকে গিয়েছেন। ওই সমস্ত দর্শনার্থী তারাপীঠে না থেকে পুজো দিয়ে দেবীর দর্শন করে বেরিয়ে গিয়েছেন।

তারাপীঠে আসা দর্শনার্থীদের একাংশ মনে করছেন, মন্দিরে পুজো দিতে এসে দর্শনার্থীদের নানান রকম লাইনে ৫০০, ১০০০, ২০০০ টাকা দিতে হচ্ছে। দেবী দর্শন করতে এসে এ ভাবে টাকা দেওয়া অনেকেরই সামর্থ্যে কুলায় না। আবার টাকা না দিয়ে পুজোর লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেকেই অপেক্ষা করতে চায় না। যার ফলে কৌশিকী অমাবস্যার দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে অনেকে তারাপীঠে আসতে চাননি বলে অনেকে মনে করছেন।

Tarapith Rampurhat Kaushiki Amavasya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy