পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বীরভূম জেলাতেও তা নিয়ে সতর্ক প্রশাসন।
মঙ্গলবার শুরু হবে পরীক্ষা। তার আগে শুক্রবার ও শনিবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কনভেনর এবং সংসদ সদস্যরা সিউড়ি, রামপুরহাট ও বোলপুর মহকুমায় বৈঠক করেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৈঠকে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ রুখতে কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর জেলার ৩৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে রামপুরহাট মহকুমায় ২২টি, বোলপুর ও সিউড়ি মহকুমায় ছ’টি করে ১২টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে নলহাটি ২ ব্লকের ৩টি এবং নলহাটি ১ ব্লকের ৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র। মুরারই ১ ব্লকে ৩টি, মুরারই ২ ব্লকে ৪টি, রামপুরহাট ২ ব্লকে একটি, রামপুরহাট ১ ব্লকের ৫টি এবং ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র ওই তালিকায় রয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার যুগ্ম কনভেনর প্রশান্তকুমার দাস জানান, অতি স্পর্শকাতর ৩৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন রুখতে প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ‘জেলা অ্যাডভাইসারি কমিটির’ সদস্যরা তার উপরে নজর রাখবেন। প্রশান্তবাবু জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে নজরদারির পরেও যদি পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে সংসদ থেকে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ওই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হতে পারে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার ২৯ জন। ছাত্রসংখ্যা ১২ হাজার ৯৯৮, ছাত্রী ১৫ হাজার ৩১। রামপুরহাট মহকুমায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। গত বছর জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৮২ জন। গত বারের তুলনায় এ বারও ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy