E-Paper

গ্রন্থাগার দফতরে শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ, আশ্বাস মন্ত্রীর

এ বার বইমেলায় ৭০টি বইয়ের দোকান বসেছে। কলকাতা নানা প্রকাশনও এসেছে। উদ্বোধনের পরে জেলাশাসক, জেলাপরিষদের সভাধিপতি স্টলগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪০
জেলা বইমেলা। রামপুরহাট।

জেলা বইমেলা। রামপুরহাট। ছবি সব্যসাচী ইসলাম।

জানুয়ারির মধ্যেই রাজ্যে গ্রন্থাগার দফতরের শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট হাই স্কুল মাঠে ৪২তম বীরভূম জেলা বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে এমনই আশ্বাস দিলেন জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, জেলাশাসক বিধান রায়, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সুদীপ্ত বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বিশ্বজিত মোদক প্রমুখ।

এই মঞ্চ থেকেই এ দিন মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে ২ হাজার ৪৫৪টি গ্রন্থাগার আছে। তার মধ্যে কিছু গ্রন্থাগার কর্মিশূন্য থাকায় বন্ধ রাখতে হয়েছে। গ্রন্থাগার দফতরে ৭৩৮টি পদে সম্ভবত জানুয়ারির মধ্যেই নিয়োগ হবে।’’ মন্ত্রীর দাবি, এক সঙ্গে এত সংখ্যক কর্মী গ্রন্থাগার দফতরে আগে কখনও নিয়োগ করা হয়নি।মন্ত্রী জানান, এই জেলার ছেলে-মেয়েরাও চাকরি পাবেন। এতে যে গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলি এখন বন্ধ আছে তা খুলবে। পাশাপাশি, যে সমস্ত গ্রন্থাগারিকরা একাধিক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন, সেটা আর করতে হবে না।

এ বার বইমেলায় ৭০টি বইয়ের দোকান বসেছে। কলকাতা নানা প্রকাশনও এসেছে। উদ্বোধনের পরে জেলাশাসক, জেলাপরিষদের সভাধিপতি স্টলগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ বারে জেলা বইমেলার থিম ‘ভাষা শিখব, বই লিখব’। সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলা ভাষা চর্চাকে তুলে ধরর জন্য রাজ্যের প্রতিটি বইমেলায় জোর দেওয়া হয়েছে।’’

মঞ্চে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বইমেলা নিয়ে এলাকায় দশ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইকিং করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। পঞ্চায়েত এলাকার ছেলে-মেয়েরা বইমেলায় নিয়ে আসার কথাও বলেন মন্ত্রী। তাঁর বিশ্বাস, এতে বাংলা ভাষার প্রতি ছেলে-মেয়েদের আগ্রহ বাড়বে।

মঞ্চ থেকে জেলাশাসক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘রচনা বইয়ের কাল্পনিক বইমেলার রচনা না লিখিয়ে জেলা বইমেলা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা লেখান।’’ সাহিত্যিক অর্পিতা সরকারও বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে ছেলে-মেয়েদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য অভিভাবকদের নজর দিতে বলেন।

এসইউসির মিছিল

সিউড়ি: জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করা, স্মার্ট মিটারের বিরোধিতা, সারের কালোবাজারির রোধ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বৃহস্পতিবার সিউড়িতে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাল এসইউসি। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা জনবিরোধী নীতি এবং নিয়োগ সহ বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও সরব হন তাঁরা। এ দিন শহর জুড়ে মিছিল করে এসে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। এই দাবিগুলিকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে আন্দোলন চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে এসইউসি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rampurhat Siddiqullah Chowdhury

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy