ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
রহস্যজনক ভাবে খুন হয়ে গেলেন এক বধূ। মৃতার নাম প্রতিমা দাস (৪০)। দুষ্কৃতীদের ভোজালির ঘায়ে আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে সঞ্জিতও। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে। নানুরের পলাশি গ্রামের বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই রাতে প্রতিমাদেবী বাড়ির খোলা বারন্দায় শুয়েছিলেন। চৌকির উপর শুয়েছিল সঞ্জিত। প্রতিমাদেবীর স্বামী দুর্গাপদ দাস বাড়ি ছিলেন না। মুর্শিদাবাদের কুরুন্নরুণ গ্রামে ছোট মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। ওই বাড়ির কাছেই থাকেন দুর্গাপদবাবুর ভাই ভগীরথ দাস। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত একটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা মা এবং ছেলের উপর চড়াও হয়। তাঁর কথায়, ‘‘রাত একটা নাগাদ বড়দার বাড়ি থেকে ভাইপোকে ‘আমাদের মেরে ফেলল’ বলে ছুটে বেরিয়ে আসতে দেখি। গিয়ে দেখি বিছানায় বৌদির দেহ পড়ে রয়েছে।’’ পরিজনদের দাবি, মৃতার মাথা, হাত, পায়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল।
ওই ঘটনার পরেই পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি ওঠে। দাবি মেনে বর্ধমান ডগ স্কোয়াড থেকে পুলিশ কুকুর আনাও হয়। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। দুর্গাদাসবাবুর আর এক ভাই মহাদেববাবু জানান, ওই সময় ভাইপো সঞ্জিতের যা অবস্থা ছিল তাতে ওকে কিছু জিজ্ঞাসা করা যায়নি। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে সঙ্গে সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কী কারণে, কারা এই ধরণের কাজ করল সে নিয়ে ধন্দে পুলিশও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সঞ্জিত সুস্থ হলে তাকে প্রশ্ন করেও ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy