দিন তিনেক আগে সিপিএমের মহিলা প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূল সদস্যেরা। পাঁচ তৃণমূল সদস্যের পাশাপাশি তাতে সম্মতি ছিল এক ফরওয়ার্ড ব্লক এবং চার সিপিএম সদস্যের। নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের বিডিও অনাস্থা প্রস্তাবে সই করা দশ জনের সই সনাক্ত করলেন। এ দিন বিডিও-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ১৬ তারিখ ওই পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ সকল সদস্য ও সদস্যাকে উপস্থিত থাকতে হবে। বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ জানান, ওই দিনই প্রধানের পক্ষে-বিপক্ষে হাত তুলে সমর্থন জানাবেন বাকি সদস্যরা।
বিরোধীদের দখলে থাকা মহম্মদবাজারের সেকেড্ডার প্রধানের বিরুদ্ধে গত সোমবার ১০ সদস্য অনাস্থা পত্রে সই করেন। মঙ্গলবার ছিল সই ‘ভেরিফিকেশন’-এর দিন। সেই মতো তৃণমূলের পাঁচ, সিপিএমের চার ও এক ফব সদস্য এ দিন সকালে ব্লক কার্যালয়ে হাজির হন। বিডিও অনাস্থা প্রস্তাবের সই এর সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেকের সই মিলিয়ে দেখেন। তারপর ভোটাভুটির দিন ধার্য করেন। সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৪। গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম আট, ফব এক ও তৃণমূল পাঁচটি আসন দখল করে। তারপরে দুর্নীতি এবং এলাকার অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনে তৃণমূল। সিপিএমের দাবি, দীর্ঘ দিন থেকেই এই পঞ্চায়েত দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে তৃণমূল। দুর্নীতি ও অনুন্নয়ন্রের অভিযোগ মিথ্যে। প্রধান সাকিলা বিবির দাবি, ‘‘এ সব চক্রান্ত ছাড়া কিছু না।’’ একই কথা বলছেন সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চশহিদ লোকাল
কমিটির সদস্য সুশীল ঢেঙ্গর। বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহম্মদবাজার ব্লকের সাধারণ সম্পাদক তথা স্থানীয় নেতা আনারুল হক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy