Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Special Train

বিদ্যুৎ নেই শ্রমিক স্পেশ্যালে, যাত্রীদের বিক্ষোভ

এই ট্রেনের যাত্রীরা জানান, ট্রেন চেন্নাই স্টেশন ছাড়ার ঘণ্টাখানেক পর থেকেই অধিকাংশ কামরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

প্রতিবাদ: অব্যবস্থার প্রতিবাদে প্ল্যাটফর্মে নেমে বিক্ষোভ যাত্রীদের।  নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: অব্যবস্থার প্রতিবাদে প্ল্যাটফর্মে নেমে বিক্ষোভ যাত্রীদের।  নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৩:১৬
Share: Save:

ট্রেন ছাড়ার পরেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। কামরায় আলো নেই, পাখা ঘুরছে না, খাবার মিললেও তা মুখে তোলার অযোগ্য বলে অভিযোগ ছিলই। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ বোলপুর স্টেশনে চেন্নাই থেকে আগরতলা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের ১২০০ যাত্রীকে খাবার ও পানীয় দেওয়ার সময় তাঁদের একাংশ দীর্ঘ যাত্রাপথে নানান দুর্ভোগের অভিযোগ তুলে রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হলেন। রেলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করলেও রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেনটির যান্ত্রিক ত্রুটি সারানো হয়েছে বলে জানানো হয়।

এ দিন রেলের আধিকারিকেরা ও ওই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনটির যাত্রীরা জানান, লকডাউনে চেন্নাইয়ে আটকে থাকা ১২০০ শ্রমিককে নিয়ে আগরতলাগামী ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ চেন্নাই স্টেশন ছাড়ে। প্রাথমিক পরীক্ষার পরেই ট্রেনে ওঠেন সকলে। আগে থেকেই এই বিশেষ ট্রেনটির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। অধিকাংশ যাত্রীই ত্রিপুরার বাসিন্দা। এই ট্রেনের এক যাত্রী সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘আমরা চেন্নাইতে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছিলাম। যখন শুনলাম সরকার আমাদের ট্রেনে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার পরে বুঝলাম কতটা কষ্টকর হবে যাত্রা। আলো জ্বলছে না, পাখা ঘুরছে না। ঘুটঘুটে অন্ধকার কামরায়। আর শৌচাগারের অবস্থা তো কহতব্য নয়। এই সমস্যার কথা শোনারও কেউ ছিলেন না। তাই ক্ষোভ বাড়ছিল।’’

এই ট্রেনের যাত্রীরা জানান, ট্রেন চেন্নাই স্টেশন ছাড়ার ঘণ্টাখানেক পর থেকেই অধিকাংশ কামরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারমধ্যে পানীয় জলের অভাব, খাবার যা দেওয়া হয় তাও ভাল ছিল না বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জায়গায় অনেক্ষণ থেমে থেমে ট্রেন যখন বোলপুরে পৌঁছয় তখন অধিকাংশ যাত্রীরই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এখানেও যাত্রীদের সকলকে শুকনো খাবার ও পানীয় জল দেওয়ার জন্য ট্রেনটি বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীদের অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আগেই ট্রেন ছাড়ার বাঁশি বাজতে সকলে উঠে পড়েন নিজেদের কামরায়। বোলপুরের স্টেশন মাস্টার শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘যাত্রীদের জল, শুকনো খাবার দেওয়া হয়। কয়েকটি কামরায় বিদ্যুৎ পরিষেবায় সমস্যার কথাও জানতে পারি। তখনই তা রামপুরহাটে জানাই। সেখানে ট্রেনটি পৌঁছলে সমস্যার সমাধানও হয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Special Train Electricity Migrant Labourer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE