মহম্মদবাজারের কুলিয়ায় বিসর্জনে মাস্ক ছাড়া হাজির। নিজস্ব চিত্র।
সিঁদুর খেলা থেকে শুরু করে দশমী, একাদশীর ভাসানে জেলার একাধিক জায়গায় বিধিভঙ্গের ছবি দেখা গিয়েছিল। দ্বাদশীতেও সেই মাতামাতি চলল। জাঁক করে শোভাযাত্রা না-হলেও মণ্ডপের সামনে বক্স বাজিয়ে নাচ, কোথাও দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে সিঁদুর খেলা হয়েছে। মাস্কটুকু দেখা যায়নি অনেকের। পুলিশ, প্রশাসনকেও রাস্তায় নেমে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। ফলে বেপরোয়া ছিল জনতাও।
দশমীর দুপুর থেকে দ্বাদশী বিকেল পর্যন্ত জেলার একাধিক বারোয়ারি ও বাড়ির পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। রবিবার শুধু বোলপুরেই প্রায় ৮০টি বাড়ি ও ক্লাবের প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে স্থানীয় পুকুরগুলিতে। নিরঞ্জনের সময় অনেকেই কোভিড বিধি মানতে দেখা যায়নি। সিউড়ি শহরেও ছবিও একই। সেখানেও প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে একাধিক পুজো উদ্যোক্তাকে বক্স ও বাজনার তালে নাচে প্রতিমা নিরঞ্জনে যেতে দেখা গিয়েছে।
রামপুরহাট শহরে শনিবার সন্ধ্যা ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত বেশ কিছু প্রতিমা পাড়ার মধ্যে ঘুরিয়ে নিরঞ্জন করতে দেখা যায়। প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে এক সঙ্গে অনেক মানুষ ভিড়ও জমান। কিছুটা ব্যতিক্রম ছবি দেখা গিয়েছে মহম্মদবাজার, মুরারই ও নলহাটি এলাকায়। বেশ কিছু জায়গায় অল্প লোকে কোভিড বিধি মেনে প্রতিমা নিরঞ্জনে যেতে দেখা গিয়েছে।
তবে এখনও জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা নিরঞ্জন হতে বাকি রয়েছে। তখনও কি এমনই ছবি থাকবে? চিন্তায় রাখছে সচেতন আমজনতা থেকে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
তবে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী অবশ্য বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। যাঁরা মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মানুষ এখনও যদি নিজে সচেতন না হন তা হলে বড়ই মুশকিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy