Advertisement
E-Paper

সংক্রমণ কমলেও বাড়ছে পরীক্ষা

স্বাস্থ্য জেলায় বর্তমানে দৈনিক ৪০০ করে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২১ ০৫:৫৬
নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা দোকান। ছুট পুলিশের।

নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা দোকান। ছুট পুলিশের। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

শনিবার সন্ধ্যা থেকে আংশিক সময়ের লকডাউনে বাজারে ভিড় কমেছে। এর ফলে গত দুদিনে সংক্রমণের হার আগের থেকে অনেকটাই কম বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। তবে সংক্রমণের মাত্রা কমলেও করোনা সন্দেহে পরীক্ষা ফের বৃদ্ধি করল স্বাস্থ্য দফতর।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ রায় জানান, স্বাস্থ্য জেলায় বর্তমানে দৈনিক ৪০০ করে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। নির্দেশ অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্টে নেগেটিভ আসার পরেও যদি রোগীর দেহে জ্বর সর্দি কাশির উপসর্গ থেকে যায় তখন তাকে আরটিপিআর টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি। গত ২৪ ঘণ্টায় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ৪৯ জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। এদের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টে ১১ জনের ধরা পরেছে বাকী ৩৮ জন আরটিপিসিআর ধরা পরেছে।

এ দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ হ্রাসে বাজারে ভিড় এড়াতে এবং প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বেরোলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে প্রশাসন। এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে প্রশাসন। রামপুরহাট শহরের পাঁচমাথা মোড়ে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। রামপুরহাটের মহকুমা শাসক জগন্নাথ ভড় জানান, পাঁচ মাথা মোড়ের মতো শহরের আরো কয়েকটি জায়গা বেছে নিয়ে সব সময়ের জন্য করোনা নিয়ে সচেতন করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

মহকুমাশাসক জানান, করোনা রোগীদের জন্য রামপুরহাট মহকুমার সব ক’টি ব্লকে সেফ হোম গড়ে তোলার জন্যও চেষ্টা চলছে। বর্তমানে মুরারই ১ ব্লকের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের আম্বুয়া এলাকায় সরকারি মডেল স্কুলে এবং নলহাটি সিএডিসি ভবনে সেফ হোম খোলা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হলেও যাঁদের শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নেই এবং যাদের বাড়িতে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার জায়গা নেই সেই সমস্ত রোগীদের সেফ হোমে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে হাসপাতালের কোভিড বিভাগের শয্যা সংখ্যা ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৬০ শয্যা করার ব্যপারে পদক্ষেপ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে।

Corona Coronavirus in West Bengal COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy