চাকা গড়াতে শুরু করল। জয়দেব মেলার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার পাঁচ সতীপীঠের সঙ্গে মহম্মদবাজার থানার হিংলো অঞ্চলের দ্বারবাসিনী মন্দির এবং গণপুরের জঙ্গলকে ঘিরেও বিশেষ ইকো পর্যটনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। শুক্রবার জেলা প্রশাসন থেকে দু’টি জায়গা দেখা হল। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ররা।
মহম্মদবাজারের গণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে শাল, সেগুন, মহুয়ার জঙ্গল। পাশেই হিংলোয় রয়েছে দ্বারবাসিনী মায়ের মন্দির। এই মন্দির বহু পুরনো। জেলা তো বটেই ভিন্ রাজ্য থেকেও অনেকে পুজো দিতে আসেন। এক সময় দ্বারবাসিনী এলাকায় বহু হিন্দি, বাংলা সিনেমা, সিরিয়াল, টেলিফিল্মের শ্যুটিং হয়েছে। কিন্তু সে রকম ভাবে প্রচার পায়নি। গত ১০ জানুয়ারি জয়দেবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে এই এলাকার পর্যটনের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। সেই ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করতেই সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এলাকা পরিদর্শন করলেন। সঙ্গে ছিলেন ইঞ্জিনিয়াররাও। কী ভাবে কী করা সম্ভব, সে বিষয়ে সবিস্তার রিপোর্ট রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের কাছে পাঠানো হবে।
এ দিন সভাধিপতি প্রথমে গণপুর যান। গণপুর জঙ্গলে অবস্থিত বন দফতরের বাংলো লাগোয়া এলাকা, গোপালনগরে অবস্থিত জঙ্গল লাগোয়া বাঁধ এলাকা ও ম্যানেজার পাড়ার জঙ্গল ঘুরে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রী এখানেই ইকো রিসর্ট করার কথা বলেছেন। এরপর দলটি যায় দ্বারকার পাশে দ্বারবাসিনি। উল্টো দিকেই ঝাড়খণ্ড। তৃণমূলের মহম্মদবাজার ব্লক সভাপতি গৌতম মণ্ডল, জেলা কমিটির সদস্য কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলছেন, ‘‘এই প্রকল্পে এলাকার অর্থনীতি উন্নত হবে।’’ আপাতত জল, রাস্তার তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এই নেতারা। জমি চিহ্নিত করে দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিকাশবাবুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy