খেজুর খাওয়ানোর নাম করে এক বালিকাকে পুকুরের পারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক টোটোচালক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকার ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার বাসিন্দা বছর দশেকের একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির অদূরে একটি দোকানে গিয়েছিল চকোলেট কিনতে। সেই সময় পেশায় টোটোচালক এক যুবক নাবালিকাকে খেজুর খাওয়ানোর নাম করে স্থানীয় একটি পুকুরের পারে ডেকে নিয়ে যান। অভিযোগ সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাবালিকা বাড়িতে ফিরে কাঁদতে শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে নির্যাতনের কথা পরিবারের লোকজনকে জানায়। পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এর পর রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সোনামুখী থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। অন্য দিকে, ‘নির্যাতিতা’ শারিরীক ভাবে অসুস্থ বোধ করায় তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবিতে সরব হয়েছে ‘নির্যাতিতা’র পরিবার। নাবালিকার মা বলেন, ‘‘মাত্র ১০ বছর বয়সি আমার মেয়েকে যে ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তাতে আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’’ ‘নির্যাতিতা’র বাবা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত আমাদের পরিবারের পূর্বপরিচিত। রবিবার বিকেলে আমার মেয়ে দোকানে গেলে তাকে জোর করে পুকুরের ধারে নিয়ে গিয়ে এই দুষ্কর্ম কাজ করেছে ওই যুবক।’’ ওই ঘটনায় শোরগোল এলাকায়।
আরও পড়ুন:
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। দ্রুত ঘটনার তদন্ত শেষ করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করাই লক্ষ্য। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, এই ঘটনার দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির কোনও যোগ নেই। অভিযুক্ত এক জনই এবং তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’