আবার বোমাবাজিতে উত্তপ্ত বীরভূম। এ বার ঘটনাস্থল খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালি বিক্রির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতেই দু’পক্ষ বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তেরা তৃণমূল নেতা স্বপন সেন এবং তৃণমূলের কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয়দের দাবি। বোমার আঘাতে শেখ সাত্তার আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীর একটি পা উড়ে গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ।
গত বছর জামিনে মুক্ত হন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় দু’বছর পরে তিনি জেলায় ফেরেন। তার পরই দলের গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দেয়। বেশ কয়েক জায়গায় অনুব্রত এবং বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষ হয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দু’পক্ষ প্রকাশ্যে বার্তা দিয়েছে। অনুব্রত দাবি করেন, বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। কিন্তু ঘটনা পরম্পরা ঠিক উল্টো কথা বলে।
এ বার কোর কমিটির সদস্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার লোকজনের। স্থানীয়দের দাবি, অনুব্রতের ‘কাছের লোক’ উজ্জ্বল। অন্য দিকে, স্বপন, কালো শেখ প্রমুখেরা কাজলের ঘনিষ্ঠ বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বালির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। সোমবার রাতভর বোমাবাজি হয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন:
তৃণমূল নেতা উজ্জ্বলের অভিযোগ, তাঁকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই সোমবার রাতে এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা কালো শেখের বাড়িতে জড়ো হন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মহিবুল শেখ-সহ বেশ কয়েক জন। উজ্জ্বলের আরও অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র এবং বোমাও মজুত করা হচ্ছিল। অন্য দিকে, কালোর তরফে অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর বোমা ছুড়েছেন উজ্জ্বলের অনুগামীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কালো-সহ ৮ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কালোর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি হয়েছে বলে খবর। উজ্জ্বলের দাবি, বহিরাগতদের নিয়ে গ্রামে জমায়েত করায় গ্রামবাসীরাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অন্য দিকে, নতুন করে যাতে উত্তেজনা না-ছড়ায়, সে জন্য ওই জায়গায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।