Advertisement
E-Paper

গ্রিনসিটি প্রকল্প নিয়ে এ বার ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

এখনও শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া কাঁদরের ধারে কিংবা খোলা আকাশের নীচে প্রকাশ্যে দিনেরবেলা শৌচকর্ম করেন কোনও কোনও এলাকার বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭ ০১:১৩

এখনও শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া কাঁদরের ধারে কিংবা খোলা আকাশের নীচে প্রকাশ্যে দিনেরবেলা শৌচকর্ম করেন কোনও কোনও এলাকার বাসিন্দারা।

শহরে বিভিন্ন পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ অনেকদিনের।

শহরের ব্যস্ততম রাস্তা বা জাতীয় সড়কের ধারে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে জঞ্জাল পড়ে থাকার খন্ড খন্ড ছবিও অমিল নয় রামপুরহাট শহরে! অথচ এই শহরকেই গ্রিন সিটি গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরদফতর। বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘‘উন্নয়নের নামে পরিকল্পনা বিহীন শহরে চলছে টাকার খেলা।’’

পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি রামপুরহাট পুরসভা পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরে রামপুরহাট শহরকে গ্রিন সিটি করার পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। ওই পরিকল্পনায় শহরের বিভিন্ন পুকুর সংস্কার, কাঁদরের সৌন্দর্য্যায়ন, শহরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন আলোর ব্যবস্থা করা হবে। ব্যয় বাবদ ৬ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকার ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা বিজেপি-র শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘একবছরের বেশি সময় পাঁচমাথা এলাকায় খুঁড়ে রেখে ওয়াচ টাওয়ার বসানোর কাজ চলছে।

একই রাস্তা এক বছরের মাথায় দু’বার সংস্কারের কাজ চলছে। ভ্যাপার লাইট পরিবর্তে ত্রিফলা। ত্রিফলার পরিবর্তে এলইডি লাইট লাগানো চলছে। গাঁধী পার্কের ধারে সবুজ গাছ ধ্বংস করে বস্তিবাসীদের জন্য অপরিকল্পিত ভাবে ফ্লাট তৈরি হচ্ছে। শহরে স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজ শুরু হয়নি বস্তিবাসীরা খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করছেন। গ্রিন সিটির নামে লুটতরাজ ছাড়া এসব কী!’’

পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক জানান, শহর ঢুকতে সানঘাটা সেতুর জাতীয় সড়কের দু’ধারে ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে জঞ্জাল জমে জমে এলাকা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লোটাস প্রেস মোড় সংলগ্ন এলাকা, বামনিগ্রাম মোড় সংলগ্ন এলাকা জমে থাকা জঞ্জালে পরিবেশ দূষিত। সঞ্জীববাবুর অভিযোগ, “কাঁদর সংস্কারের বছর দেড়েক আগে দেড়কোটি টাকায় সংস্কার হওয়া কাঁদর বর্তমানে কচুরিপানায় ভর্তি।’’

পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর অমল সেখের দাবি, ‘‘বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুকুর ভরাটের ব্যাপারে পুরসভা একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও পুরসভা উদাসীন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জঞ্জাল সাত দিন ধরে পড়ে থাকে। জঞ্জাল ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং করার জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। গ্রিন সিটির নামে শহরে ভাঙাগড়ার খেলা চলছে।” কী বলছেন পুরপ্রধান?

বিরোধীদের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে অশ্বিনি তিওয়ারি বলেন, ‘‘বিরোধীরা রামপুরহাট পুরসভার কাজ দেখে ঈর্ষান্বিত। আমরা চাই শহরে আরও সবুজায়ন ঘটুক। বিদ্যুতের বিল সাশ্রয় হোক। পুকুর সংস্কার থেকে পুকুর পাড় বাধানো, কাঁদরের সৌন্দর্য্যায়নের পরিকল্পনা থেকে জঞ্জাল নির্দিষ্ট জায়গায় ডাম্পিং করার জন্য জায়গা দেখা হয়েছে।” পুরপ্রধানের দাবি, গ্রিন সিটির মাধ্যমে শহরকে সুন্দর ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে অথচ বিরোধীরা অপপ্রচার করছে।

GreenCity Project Opposition
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy